লন্ডন, 9 জুলাই: আবারও লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাল খালিস্তানি সমর্থকরা। স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর সাড়ে 12 টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন 30- 40 জন খালিস্থানি সমর্থক। প্রায় দু'ঘণ্টা বিক্ষোভ চলে বলে জানা গিয়েছে । বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল পোস্টার। সেই পোস্টারে তাদের নেতা হরদীপ সিং পুরীর মৃত্যুর জন্য লন্ডনের ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং কনসল জেনারেল শশাঙ্ক মনোহরকে দায়ী করা হয়।
জুন মাসের 19 তারিখ কানাডায় আততায়ীদের হামলায় প্রাণ যায় এই খালিস্তানি নেতার। তার নামে ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকার অভিযোগ ছিল। এ হেন নেতার মৃত্যুর জন্য ভারতের এই দুই কূটনৈতিককেই দায়ী করা হয়েছে । গত কয়েক মাস ধরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। পঞ্জাবে খালিস্তানের প্রচারক অমৃতপাল সিংয়ের গ্রেফতারির পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
দেশের পাশাপাশি আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডে সক্রিয় হয়ে উঠেছে খালিস্তানের সমর্থকরা। 19 মার্চ লন্ডনের ব্রিটিশ হাইকমিশনার দফতরের বাইরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেয় এই খালিস্তানিরাই। রুখে দাঁড়ান হাইকমিশনের কর্মীরাই। তাঁদের উদ্যোগে আবারও হাইকমিশনের দফতরের বাইরে স্বস্থানে জাতীয় পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
স্বভাবতই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় দিল্লি। ভারতে কর্মরত ইংল্যান্ডের প্রবীণতম কূটনীতিককে ডেকে পাঠানো হয়। স্পষ্ট ভাষায় তাঁকে জানিয়েও দেওয়া হয়, জাতীয় পতাকার অপমান মানে দেশের অপমান। পাশাপাশি ভারত যে এই ধরনেরহ আচরণ কোনও অবস্থায় মেনে নেবে না সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার বিরোধিতায় বিবৃতি জারি করে ভারত।
আরও পড়ুন: খালিস্তান গড়তে আলাদা সেনাবাহিনী, মুদ্রা ও পতাকা তৈরি করেছেন অমৃতপাল ! দাবি পুলিশের
শুধু লন্ডন নয়, আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর ভারতীয় দূতাবাসেও সম্প্রতি ভাঙচুর থেকে শুরু করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার নেপথ্যেও ছিল খালিস্তানি সমর্থকরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর শেষ হওয়ার পরপরই এই ঘটনা ঘটে । এবারও প্রতিবাদে সরব হয় দিল্লি। উল্লেখ্য ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার প্রশাসন এই ধরনের ঘটনার সমালোচনা করেছে। পাশপাশি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।