কেপ টাউন, 16 মে: নবজাতকের মৃত্যুহার কমানোয় সক্রিয় পদক্ষেপ করেছে ভারত ৷ তারই ফল এ বার হয়তো মিলতে চলেছে ৷ 2030 সালের মধ্যে এই ক্ষেত্রে সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে দেশ ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন ৷ বার্ষিক হারের তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন যে, 2016 থেকে 2021 সালের মধ্যে দেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাতৃত্ব, নবজাতক, শিশু ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তা ডা. আংশু বন্দ্যোপাধ্যায় জেনেভায় বলেছেন, ভারত প্রসূতি ও নবজাতকের প্রসবের সময় যত্নের মান উন্নত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে, যার ফলে মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে । এটি নবজাতকদের জন্য আরও ভাল ফলাফল আনবে ৷
'আন্তর্জাতিক মাতৃ নবজাতক স্বাস্থ্য সম্মেলনে' (IMNHC 2023) যোগ দিয়ে তিনি বলেন, "যদি আমরা 2016-2021-এর মধ্যে নবজাতকের মৃত্যুহ্রাসের বার্ষিক হার ব্যবহার করি এবং এটি 2022-2030 এ প্রয়োগ করি, তাহলে সম্ভবত ভারত দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে ৷"
ডা. বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও বলেন, ভারত নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস ত্বরান্বিত করার জন্য পদক্ষেপ করতে সক্রিয় হয়েছে ৷ এই দেশ এই নিয়ে নীতি জোরদার করেছে এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যের জন্য পরিকল্পনা করেছে বলে মত তাঁর । 8-11 মে অনুষ্ঠিত চার দিনের সম্মেলনে বেশ কয়েকটি অধিবেশনে ভাষণ দেন ডা. আংশু বন্দ্যোপাধ্যায় । দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এবং বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ AlignMNH-র নেতৃত্বে ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (USAID)-এর সহযোগিতায় এবং UNFPA, UNICEF এবং বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্বে আয়োজিত হয় আইএমএলএইচসি 2023 ৷
স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ডেডিকেটেড নিউবর্ন কেয়ার কর্নারগুলির মাধ্যমে নবজাতকের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়া হয়, সাধারণ নবজাতকের অসুস্থতায় যত্ন নেওয়ার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে নবজাতক স্থিতিশীলকরণ ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রায় 1,000 নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাকে জুড়ে রয়েছে । অসুস্থ এবং প্রিম্যাচিওর বেবির যত্ন নেওয়ার জন্য এই পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।
আরও পড়ুন: ফেলে গিয়েছিলেন মা, হাসপাতালে 'খুশি'র মুখে মাছ-ভাত