নিউইর্য়ক, 28 অক্টোবর: রাষ্ট্রসঙ্ঘের আনা গাজা সংক্রান্ত প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রইল ভারত। গাজার নাগরিকদের মানবিক অধিকার রক্ষা-সহ কয়েকটি কারণে আনা এই প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ ছিল না। কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের দাবি, এই কারণেই ভোটাভুটি থেকে ভারত নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। তবে 193টির মধ্যে 120টি সদস্য দেশ ভোট দেওয়ায় প্রস্তাবটি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাঘারণ সভায় পাশ হয়ে গিয়েছে। এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার বিষয়টিকে মানবতার কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ইজরায়েল হামলা চালায় হামাস। পালটা হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেয় ইজরায়েল। এই হামলা এবং পালটা হামলা নিয়ে সমগ্র বিশ্বই আতঙ্কিত। ইজরায়েলের হানায় হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে অসংখ্য বাড়ি। সম্প্রতি একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, গাজা কার্যত মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে। সীমান্তে ইজরায়েলি অবরোধের জেরে গাজায় ওষুধ থেকে শুরু করে অন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এমনই আবহে জর্ডন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে এই প্রস্তাবটি নিয়ে আসে।
জর্জনের পাশাপাশি পাকিস্তান, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং রাশিয়ার মতো 40টি দেশ এই প্রস্তাবটি আনতে সহযোগিতা করে। ভোট শেষ হওয়ার পর দেখা যায়, 193টি দেশের মধ্যে 120টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে 14টি দেশ। ভারতের মতো 45টি দেশ ভোট দেয়নি। এই তালিকায় ইংল্যান্ড, জাপান, ইউক্রেন এবং কানাডার মতো দেশও আছে।
প্রস্তাবে একটি সংশোধন করার প্রস্তাব দেয় কানাডা। জাস্টিন ট্রুডোর দেশের তরফে বলা হয়, এই প্রস্তাবের একটি অংশে হামাসের হামলাকে নিন্দা করা হোক। এই সংশোধনটির পক্ষে ভারতের মতো 87টি দেশ ভোট দেয়। বিরোধিতা করে 55টি দেশ। ভোট দেয়নি 23টি দেশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিয়ম অনযায়ী দুই তৃতীয়াংশ সদস্য পক্ষে না থাকলে সংশোধনী প্রস্তাব হয় না। এক্ষেত্রে সেই সংখ্যক সমর্থন না থাকায় সংশোধনী ছাড়াই পেশ হয় প্রস্তাবটি।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় স্থল অভিযান ইজরায়েলের, গাজায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল 7 হাজার