তেল আভিভ, 18 অক্টোবর: হামাসের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন সাংবাদিক ইয়ানিভ জোহর ৷ তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি-র প্রাক্তন সাংবাদিক ৷ 7 অক্টোবর, শনিবার ভোরে ইজরায়েলে অতর্কিতে হামলা চালায় হামাস ৷ তাতেই প্রাণ যায় ইয়ানিভের।
এদিনই ওই সাংবাদিকের বাড়িতেও আক্রমণ করে হামাসের জঙ্গিরা ৷ তাতেই মৃত্যু হয় ইয়ানিভ জোহরের (54) ৷ শুধু সাংবাদিকই নয়, তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যাও হামাস গোষ্ঠীর আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ৷ শুধুমাত্র তাঁর 13 বছরের ছেলে একটুর জন্য বেঁচে গিয়েছেন ৷ সে সকালে জগিং করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ৷ বাড়ি ফিরে গোটা পরিবারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় কিশোর।
2005 সাল থেকে 2020 সাল পর্যন্ত দীর্ঘ 15 বছর ধরে জোহর সংবাদসংস্থা এপি-র হয়ে ইজরায়েলে কাজ করছেন ৷ এই সময়কালে তিনি দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করেছেন ৷ তাঁর বাড়িটি ছিল ইজরায়েল-গাজা সীমান্তে নাহাল ওজ কিবুৎজের কাছে ৷ তাই সাংবাদিক জোহর অনেক সময়ই সবার আগে সংঘর্ষের খবর জানতে পারতেন এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতেন ৷ সেই বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে সংবাদসংস্থাকে জানাতেন ৷
সংবাদসংস্থা এপির এগজিকিউটিভ এডিটর জুলি পেস জানান, তাঁর বহু গুরুত্বপূর্ণ খবরের মধ্যে 2005 সালের একটি ঘটনা আলাদা করে উল্লেখের দাবি রাখে ৷ ইজরায়েলি সেনা গাজা সীমান্ত থেকে পিছু হঠে যায় ৷ ওই সময় ইয়ানিভ জোহর ইজরায়েলি সেনা অপহরণের খবর করেন ৷ ইজরায়েল সেনাবাহিনীর গিলাড স্কালিটকে অপহরণ করে প্যালেস্তানিয় জঙ্গি গোষ্ঠী ৷ সাংবাদিক জোহরই প্রথম ওই ঘটনাটি কভার করেন ৷ দক্ষিণ ইজরায়েলে সংবাদসংস্থা এপির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উঠেছিলেন তিনি ৷
তবে সম্প্রতি তিনি সংবাদসংস্থা এপি ছেড়ে ইজরায়েলের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের জন্য চিত্রসাংবাদিক হিসেবে কাজ করছিলেন ৷ তাঁর অকালপ্রয়াণে তাঁর প্রাক্তন ও বর্তমান সহকর্মীরা শোকস্তব্ধ ৷ 7 অক্টোবর ইজরায়েল-গাজা সীমান্তের বেড়া ভেঙে কমপক্ষে 2 হাজার হামাস জঙ্গি ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে বলে জানা গিয়েছে ৷ এদিনের হামলায় অন্তত 1 হাজার 400 জন ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে ৷ মনে করা হচ্ছে, বিগত 75 বছরের ইতিহাসে এর থেকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ হয়নি ৷
আরও পড়ুন: গাজার হাসাপাতালে বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে 500 ! ইজরায়েল সফরে কাটছাঁট বাইডেনের