নিউ ইয়র্ক, 26 অগস্ট: বিশ্বের দরবারে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াল ভারত ৷ রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির ভার্চুয়াল ভাষণ দেওয়ার প্রস্তাবের পক্ষে যে 13টি দেশ সম্মতি দিয়েছে, তার মধ্যে ভারতও রয়েছে (India votes in favour of Zelenskyy addressing UNSC virtually)৷ ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদান করল দিল্লি (India Votes Against Russia)৷
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক শুরু হওয়ার পরই রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের দূত ভাসিলি এ নেবেনজিয়া একটি প্রস্তাব পেশ করেন ৷ ভিডিয়ো টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেই বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা ভোটদানের মাধ্যমে ঠিক করার প্রস্তাব দেন রাশিয়ার দূত ৷ রাশিয়া স্বাভাবিক ভাবেই ইউক্রেনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৷ আর ভোটদানে বিরত থেকেছে চিন ৷ ভারত ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের উপর হামলা (Russia Ukraine war) শুরু করার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত ইউক্রেন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত ৷
রাষ্ট্রসংঘে চিনের দূত তথা নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট ঝাং জুন বলেছেন, "ভোটদানের ফলাফল এরকম - পক্ষে গিয়েছে 13টি ভোট, বিপক্ষে একটি ও ভোটদানে বিরত থেকেছে একটি দেশ ৷ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে আজকের বৈঠকে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানোর প্রস্তাব গৃহীত হল ৷"
আরও পড়ুন: হিমাচলে এক হল রাশিয়া-ইউক্রেন, যুদ্ধের মাঝে 'আশ্রয়' ভারত
ভার্চুয়ালি জেলেনস্কির অংশগ্রহণে বরাবরই আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া ৷ তবে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডন্টের নিজে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখা নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না তাদের ৷
ইউক্রেনে ত্রাণ পাঠানোর দ্বাদশ অ্যাসাইনমেন্ট পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে বুধবারই জানিয়েছিল দিল্লি ৷ ইউক্রেনের বিশেষ অনুরোধে সেই ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে পাঠানো হচ্ছে 26 রকমের ওষুধ ৷ রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য রাখার সময় রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ বলেন, ত্রাণে যে হিমোস্ট্যাটিক ব্যান্ডেজ পাঠানো হচ্ছে, তা শিশু ও বড়দের গভীর ক্ষতের রক্তক্ষরণ রোধে বিশেষ সহায়ক ৷ তিনি আরও জানান, "বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আমরা টিকা পাঠিয়েছি ৷ ওষুধও পাঠিয়েছি ৷ আমি নিরাপত্তা পরিষদকে এটা আশ্বস্ত করতে চাই যে, বিশ্বের কোথাও যখনই খাদ্য, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তায় কোনও ঘাটতি বা প্রয়োজন পড়বে তখন ভারত এগিয়ে আসবে ৷"