করাচি,18 ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘ গুলির লড়াইয়ের পর অবেশেষে করাচির পুলিশ প্রধানের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেল নিরাপত্তা বাহিনী । তাদের গুলিতে মৃত্যু হল তেহরিক-ই-তালিবানের 5 জঙ্গির। সূত্রের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা প্রায় 4 ঘণ্টা ধরে লড়াই চালিয়ে পুলিশ প্রধানের দফতর জঙ্গি মুক্ত করেছেন । গভীর রাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর দেখা যায় 5 জঙ্গির পাশাপাশি 2 পুলিশ কর্মী, 1 জন আধাসেনার জওয়ান এবং 1 জন সাধারণ নাগরিকেরও প্রাণ গিয়েছে (A civilian also got killed in the firing incident )।
অভিযান শেষ হওয়ার পর টুইটারে সেই খবর জানান পাকিস্তানের সিন্ধ সরকারের মুখপাত্র মুর্তাজা ওয়াহাব । টুইটে তিনি লেখেন,"করাচির পুলিশ প্রধানের দফতর জঙ্গিদের কবল মুক্ত করা গিয়েছে। এই ঘটনায় 5 জঙ্গির প্রাণ গিয়েছে । তার মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে। বাকি দু'জন আত্মঘাতী হয়েছে।"
ওয়াহাব আরও জানান, 5 জঙ্গি ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর ৩ জন সদস্য এবং 1 জন সাধারণ নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে । তাছাড়া মোট 17 জন আহত হয়েছেন এই হামলায় । পুলিশ সূত্রে আরও খবর, শনিবার সকাল থেকে গোটা ভবনটিতে তল্লাশি চালিয়ে দেখা হবে । কোথাও কোনও বিস্ফোরক লুকিয়ে রাখা আছে কিনা সেটা জানতেই হবে তল্লাশি।
ঠিক কীভাবে পুলিশ প্রধানের দফতরের নিয়ন্ত্রণ জঙ্গিদের হাতে গেল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কতজন জঙ্গি এসেছিল সেটাও জানা যায়নি । তবে পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন সন্ধ্যা 7টা পরেই পুলিশ প্রধানের দফতরে হামলা করে জঙ্গিরা । একটি সূত্রের দাবি, পুলিশের পোশাকে এসেছিল বলেই জঙ্গিরা সহজে পুলিশ প্রধানের দফতরে ঢুকে পড়তে পেরেছিল।
এদিকে এই ঘটনার জেরে করাচির নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন পাকিস্তান সুপার লিগ খেলতে বহু বিদেশি ক্রিকেটার এখানে এসেছেন । তাঁদের হোটেলের নিরাপত্তাও বাড়িয়েছে প্রশাসন । জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাঁদের হোটেল থেকে বেরতে বারণ করা হয়েছে । তবে সুপার লিগের খেলা বাতিলের ঘোষণা এখনও হয়নি ।
আরও পড়ুন:করাচির পুলিশ প্রধানের দফতরে জঙ্গিহামলা