ETV Bharat / international

Coronavirus in China: চিনাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম বলেই কি করোনার এত দাপাদাপি ?

পড়শি চিনে আবারও লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ (Coronavirus in China) ৷ কেন তৈরি হল এমন পরিস্থিতি ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা (Expert Opinion) ?

Expert Opinion on new surge of Coronavirus in China
প্রতীকী ছবি ৷
author img

By

Published : Dec 25, 2022, 9:52 PM IST

ওয়াশিংটন, 25 ডিসেম্বর: চিনের আবারও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস (Coronavirus in China) ৷ আর তাতেই ঘুম ছুটেছে বিশেষজ্ঞদের ৷ কারণ, করোনা আটকাতে বেজিং চেষ্টায় কোনও কসুর করেনি বলেই দাবি করা হচ্ছে ৷ এমনকী, একটানা লকডাউনে সেদেশে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে ৷ অথচ, তারপরও এই পরিস্থিতি তৈরি হল কীভাবে ? বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা (Expert Opinion), আসলে ইতিমধ্যেই একেবারে ভোল বদলে ফেলেছে কোভিড-19 ৷ আর সেই কারণেই চেনা প্রতিষেধক ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ কাজ হচ্ছে না ৷ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের আনকোরা সংস্করণ !

কিন্তু সত্যিই কি এমনটাই ঘটেছে ? উত্তর জানা নেই বিশেষজ্ঞদেরও ৷ তবে, এমনটা হওয়া যে মোটেই অস্বাভাবিক বা অসম্ভব নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা ৷ আবার অনেকে বলছেন, এটি হয়তো আসলে ওমিক্রনের অন্য একটি রূপ ৷ তাই তাকে ঠেকানো যাচ্ছে না ৷ আবার কারও মতে, ভাইরাসের নতুন সংস্করণটি তৈরি হয়েছে পূর্বের একাধিক সংস্করণের মিশেলে ৷ কেউ বা মনে করছেন, আদতে এটি একেবারে নতুন, অচেনা কোনও প্রজাতি ! এর মধ্য়ে কোনটা যে সঠিক, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি ৷

আরও পড়ুন: করোনায় কাবু চিন, বন্ধ দৈনিক রিপোর্ট প্রকাশ

আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক তথা সংক্রামক ব্যধির গবেষক ড. স্টুয়ার্ট ক্য়াম্পবেল রে এই প্রসঙ্গে বলেন, "চিনের জনসংখ্য়া অত্যাধিক বেশি এবং সেখানকার মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সীমিত ৷ আর সেই কারণেই করোনার নতুন সব সংস্করণ সেখানে এভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে ৷"

প্রায় তিনবছর আগে করোনার প্রথম প্রজাতি এই চিন থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ তারপর থেকে লাগাতার রূপ বদলে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস ৷ সেই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ ওহিয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. শান-লু লিউ জানিয়েছেন, চিনে ওমিক্রনের একাধিক উপ-প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ তার মধ্যে বিএফ.7-ও রয়েছে ৷ ভাইরাসের এই বিশেষ সংস্করণটি প্রতিষেধকের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম ৷ এবং এই কারণেই সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ৷

তবে, বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে মোটামুটি একমত ৷ তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করছেন, বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশটির বাসিন্দাদের বেশিরভাগের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সীমিত হওয়াতেই ভাইরাসকে বাগে আনতে অতিরিক্ত বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে !

ওয়াশিংটন, 25 ডিসেম্বর: চিনের আবারও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস (Coronavirus in China) ৷ আর তাতেই ঘুম ছুটেছে বিশেষজ্ঞদের ৷ কারণ, করোনা আটকাতে বেজিং চেষ্টায় কোনও কসুর করেনি বলেই দাবি করা হচ্ছে ৷ এমনকী, একটানা লকডাউনে সেদেশে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে ৷ অথচ, তারপরও এই পরিস্থিতি তৈরি হল কীভাবে ? বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা (Expert Opinion), আসলে ইতিমধ্যেই একেবারে ভোল বদলে ফেলেছে কোভিড-19 ৷ আর সেই কারণেই চেনা প্রতিষেধক ও ব্যবস্থাপনায় বিশেষ কাজ হচ্ছে না ৷ হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসের আনকোরা সংস্করণ !

কিন্তু সত্যিই কি এমনটাই ঘটেছে ? উত্তর জানা নেই বিশেষজ্ঞদেরও ৷ তবে, এমনটা হওয়া যে মোটেই অস্বাভাবিক বা অসম্ভব নয়, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা ৷ আবার অনেকে বলছেন, এটি হয়তো আসলে ওমিক্রনের অন্য একটি রূপ ৷ তাই তাকে ঠেকানো যাচ্ছে না ৷ আবার কারও মতে, ভাইরাসের নতুন সংস্করণটি তৈরি হয়েছে পূর্বের একাধিক সংস্করণের মিশেলে ৷ কেউ বা মনে করছেন, আদতে এটি একেবারে নতুন, অচেনা কোনও প্রজাতি ! এর মধ্য়ে কোনটা যে সঠিক, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি ৷

আরও পড়ুন: করোনায় কাবু চিন, বন্ধ দৈনিক রিপোর্ট প্রকাশ

আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্যাপক তথা সংক্রামক ব্যধির গবেষক ড. স্টুয়ার্ট ক্য়াম্পবেল রে এই প্রসঙ্গে বলেন, "চিনের জনসংখ্য়া অত্যাধিক বেশি এবং সেখানকার মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সীমিত ৷ আর সেই কারণেই করোনার নতুন সব সংস্করণ সেখানে এভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে ৷"

প্রায় তিনবছর আগে করোনার প্রথম প্রজাতি এই চিন থেকেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল ৷ তারপর থেকে লাগাতার রূপ বদলে গিয়েছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস ৷ সেই প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ ওহিয়ো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ড. শান-লু লিউ জানিয়েছেন, চিনে ওমিক্রনের একাধিক উপ-প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ৷ তার মধ্যে বিএফ.7-ও রয়েছে ৷ ভাইরাসের এই বিশেষ সংস্করণটি প্রতিষেধকের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম ৷ এবং এই কারণেই সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ৷

তবে, বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে মোটামুটি একমত ৷ তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করছেন, বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশটির বাসিন্দাদের বেশিরভাগের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সীমিত হওয়াতেই ভাইরাসকে বাগে আনতে অতিরিক্ত বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.