নিউইর্য়ক, 30 অক্টোবর: ইলন মাস্ক টুইটার কিনবেন- এ কথা প্রথম যেদিন শোনা গিয়েছিল সেদিন থেকেই ঘুরপাক খাচ্ছে কয়েকটি প্রশ্ন । আর তার প্রথমেই ছিল কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি । টুইটারের বর্তমান কর্মীদের কতজনের চাকরি থাকবে তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই । ইতিমধ্যেই প্রাক্তন সিইও পবন আগরওয়াল থেকে শুরু করে মুখ্য আর্থিক আধিকারিক নেদ সেগাল, আইনি পরামর্শদাতা বিজয়া গাড্ডেকে সংস্থা ছাড়তে হয়েছে । আর্থিক ক্ষতিপূরণ মিললেও পদ গিয়েছে তাঁদের । এবার শোনা যাচ্ছে আরও বেশ কিছু কর্মীকেও ছাটা করা হবে । বিভিন্ন বিভাগীয় ম্যানেজারকে কর্মীদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । সেই তালিকা দেখে ছাঁটায়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে । কোনও কর্মীর কাজে সংস্থা সন্তুষ্ট না হলে তাঁর নাম তালিকায় স্থান পাবে (NYT report claims managers are asked to prepare a list of employees who could be fired) ।
নিউইর্য়ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এরকমই কিছু তথ্য মিলেছে । তবে ইলন যে কর্মী ছাঁটাই করতে চান তা তিনি নিজেই স্পষ্ট করেছেন আগে । তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে 75 শতাংশ কর্মী কাজে বহাল থাকতে চলেছেন । অর্থাৎ বাকিদের নিয়ে সংস্থা আর ভাবতে চায় না ।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে পরের মাসের গোড়া থেকেই নাকি এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হবে । কর্মীদের নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ দিয়ে সংস্থা থেকে অপসারিত করা হবে । কাদের কাদের নাম তালিকায় থাকবে এবং তাঁদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণই বা কত হবে সেটা ঠিক করার কাজ চলছে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ।
আরও পড়ুন: টুইটারের 75 শতাংশ কর্মী ছাঁটাই হবে না, জানালেন মাস্ক
সংস্থার দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে ছাঁটই করেছেন মাস্ক (Elon Musk)। সেই তালিকায় আছেন বিজয়া গাড্ডেও । প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Former president of USA Donald Trump) চিরতরে টুইটার থেকে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিজয়া । সেই তাঁর চাকরি যাওয়ার পর টুইটারে ট্রাম্পের ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যেই মাস্ক টইটার কেনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প । পাশাপাশি ইলনও অতীতে বলেছেন,যেভাবে ট্রাম্পকে নির্বাসিত করা হয়েছিল তা ঠিক নয় । তবে ট্রাম্পের টুইটারে ফিরে আসা নিয়ে এখনও পর্যন্ত পাকা কোনও খবর নেই ।