ওয়াশিংটন, 29 অক্টোবর: প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (Donald Trump) ফেরাতে নাকি যাবতীয় প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন টুইটারের (Twitter) নয়া কর্ণধার ইলন মাস্ক (Elon Musk) ৷ ইতিমধ্যেই এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট সংস্থায় নিজের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করেছেন মাস্ক ৷ সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প ৷ আর এখন শোনা যাচ্ছে, নতুন মালিকের জমানায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর থেকে কীভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্য়াহার করা যায়, তা নিয়ে ভাবনা, চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন টুইটারের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ৷
উল্লেখ্য, সোশ্য়াল মিডিয়াকে ব্যবহার করে 'হিংসাত্মক' এবং 'উস্কানিমূলক' পোস্ট করার অভিযোগে 2021 সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্য়াকাউন্ট বন্ধ করে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ ৷ নিষিদ্ধ করা হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ৷ কিন্তু, যখন থেকে ইলন মাস্কের টুইটার অধিগ্রহণের খবর আসতে শুরু করে, তখন থেকেই ট্রাম্পের টুইটারে ফেরা নিয়েও জল্পনা শুরু হয় ৷ এমনকী, চলতি বছরের প্রথম দিলে মাস্ক নিজেই বলেছিলেন, তিনি যদি টুইটারের মালিকানা নিজের নামে করতে পারেন, তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্য়াহারের বন্দোবস্ত করবেন ৷ এমনকী, ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার জন্য তৎকালীন টুইটার কর্তৃপক্ষকে বামপন্থার প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট বলেও অভিযোগ করেন ইলন মাস্ক ৷ সূত্রের দাবি, যে আধিকারিক ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছিলেন, গত বৃহস্পতিবার তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: টুইটারে শুরু ইলন-যুগ, সদর দফতর ছাড়লেন পরাগ, নেদ
ট্রাম্পের টুইটার অ্য়াকাউন্ট পুনরায় চালু করার ইস্যুতে ইলন মাস্কের বক্তব্য হল, "আমি মনে করি, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না ৷ আমার মতে, এটা ভুল হয়েছিল ৷ আমার মনে হয়, নৈতিকভাবে এটি একটি বাজে সিদ্ধান্ত এবং চূড়ান্ত বোকামির নির্দশন ৷"
সূত্রের দাবি, টুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংস্থার আইনি এবং নীতি সংক্রান্ত দফতরের প্রধান বিজয়া গাড্ডেকে বরখাস্ত করেন মাস্ক ৷ একইসঙ্গে চাকরি যায় টুইটারের তৎকালীন সিইও, চিফ ফিন্য়ান্সিয়াল অফিসার এবং জেনারেল কাউন্সিলের ৷ ইলন যখন এই পদক্ষেপ করেন, তখনও পর্যন্ত তাঁর মালিকানা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি ! শোনা গিয়েছে এই বিজয়ই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেন ।