বেজিং, 22 মে : রাশিয়ার ডিসকাউন্টে তেল কিনছে চিন ৷ হ্যাঁ, এমন খবরই ঘুরছে আন্তর্জাতিক বাজারে ৷ একদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে রাশিয়া যখন একা, তখনই পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কটা পোক্ত করতে চাইছে চিন ৷ শুক্রবার চিনের বিদেশ মন্ত্রীর মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন (Wang Wenbin) বলেন, "চিন এবং রাশিয়া স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাবে ৷ দু'পক্ষের সম্মান, সাম্যতা এবং পারস্পরিক সুবিধে বজায় রেখে ৷"
নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কোনও সমস্যার সমাধান হতে পারে, এ তত্ত্বে বিশ্বাসী নয় চিন ৷ চিনের দাবি, এটা "ভিত্তিহীন আন্তর্জাতিক আইন"-এর ফল ৷ ওয়েনবিন বলেন, "নিষেধাজ্ঞা যে শুধুমাত্র সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, নতুন জটিলতা তৈরি করেছে ৷ এটা প্রমাণিত ৷"
আমেরিকা এবং ব্রিটেন রাশিয়ার তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৷ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েনও একই ঘোষণা করে বলেন, "পুতিনকে মূল্য চোকাতে হবে ৷ রাশিয়াকে তার নৃশংস আগ্রাসনের জন্য যথেষ্ট দাম দিতে হবে ৷"
আরও পড়ুন : Imran Khan over India Fuel Price : রাশিয়ার থেকে ডিসকাউন্টে তেল কিনেছে ভারত, ইমরানের প্রশংসাসূচক টুইট
পশ্চিমী দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বের তেলের বাজারে একটা বড়সড়ো পরিবর্তন হয়েছে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন 250 কোটি ব্যারেল তেল বেঁচে যাচ্ছে, আগে যা আরব আমির শাহীর পথে রওনা দিত ৷ চিন যদি বাকি তেল কিনতে চায়, তাহলে তাকে পরিবহণে অনেক বেশি খরচ করতে হবে ৷ বিশাল বিশাল ট্যাঙ্কারগুলি প্রথমে কৃষ্ণ সাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে যাবে ৷ তারপর সেখানে সুয়েজ ক্যানেলের পথ ধরবে ৷
এর মধ্যে আবার ইউক্রেন সংঘাতের পর চিনে ইরানের রফতানি কমে গিয়েছে ৷ বেজিং কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বেশি ডিসকাউন্টে রাশিয়ান উরাল ক্রুড কিনতে আরম্ভ করে দিয়েছে ৷ এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেপলার (KPler) ৷ সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ বললেন, "চিন এখন আরও বেশি বেশি উরাল কার্গো কিনছে ৷ চিনে উরালের রফতানি তিনগুণ হয়েছে ৷"