ETV Bharat / international

Israel-Hamas War: অ্যানাস্থেশিয়া ছাড়াই শিশুর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার, জল-ওষুধ-চিকিৎসকের অভাবে গাজা সাক্ষাৎ নরক - amputations or brain surgeries without Anaesthesia

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ এখনও চলছে ৷ এদিকে ক্রমাগত হামলায় বিধ্বস্ত গাজা ৷ হাসপাতালে নেই জল, ওষুধ, চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স ৷ বিনা অ্যানাস্থেশিয়ায় অস্ত্রোপচার হচ্ছে শিশুদের ৷

ETV Bharat
ইজরায়েল হামাস যুদ্ধে মৃত হাজার হাজার শিশু
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 8, 2023, 12:36 PM IST

Updated : Nov 8, 2023, 1:25 PM IST

তেল আভিভ, 8 নভেম্বর: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আজ 33তম দিন ৷ গাজার অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে ৷ এখন পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জখমদের চিকিৎসাতেও অ্যানাস্থেশিয়া ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ বিনা অ্যানাস্থেশিয়ায় শিশুদের অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন খোদ চিকিৎসকরাই ৷ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গতকালই বলেছেন, "শিশুদের কবরে পরিণত হয়েছে গাজা ৷"

আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে গাজায় প্রাণের আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে ৷ গাজায় হাসপাতালগুলিতে কোনও রকমে চিকিৎসা হচ্ছে ৷ বিদ্যুৎথেকে শুরু করে ওষুধের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় ৷ একসঙ্গে একাধিক রোগীর ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। বহু ভাবনা-চিন্তা করে তবে একজনকে ভেন্টিলটরের সুবিধে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে ৷ শিশুদের পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় ৷ কারও অঙ্গহানি হলে বা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হলেও অ্যানাস্থেশিয়া ছাড়াই তা করতে হচ্ছে ৷ ক্ষতস্থান পরিষ্কারের জন্য মিলছে না পরিস্রুত জলটুকু ৷ আর এই সব বীভৎস ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷

অনেক চিকিৎসকরা এই অবস্থায় স্তম্ভিত ৷ এরকমটা আগে কখনও দেখেননি তাঁরা ৷ মধ্য গাজার আল আক্সা হাসপাতালের চিকিৎসক বাসেম আল নাজ্জার বলেন, "আমাদের চিকিৎসক দলটি শারীরিক ও মানসিক- দুই দিক দিয়েই ক্লান্ত ৷ কোনও কোনও চিকিৎসককে একটা গোটা সপ্তাহ হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে ৷ তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও হয়তো আহত হয়েছেন বা তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদেরও হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ আবার কয়েকজন চিকিৎসক বাড়ি ফিরেছেন এবং সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷" তিনি আরও জানান, হাসপাতালের তিন জন কর্মী বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই ইজরায়েলের ছোড়া বোমায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷

এক কথায় পৃথিবীতে এখন গাজাই নরক ৷ পরিষ্কার জল আর আয়োডিনের অভাবে রোগীদের ক্ষতস্থানে পোকা হয়ে গিয়েছে ৷ গাজার চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত জল, চিকিৎসক আর নার্স নেই হাসপাতালগুলিতে ৷ এতে রোগীদের পরিষ্কার রাখা সম্ভব হচ্ছে না ৷ নোংরা চাদর ধোয়া যাচ্ছে না ৷

হৃদরোগে আক্রান্ত কোনও রোগীকে হয়তো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এদিকে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য এক রোগীকে সুস্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন ৷ কারণ, এই রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর থেকে অনেক বেশি ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা কয়েকজন মাত্র রোগীই হাসপাতালে শয্যা পেয়েছেন ৷ আরও কম সংখ্যক রোগী ভেন্টিলেটর বা অ্যানাস্থেশিয়া পেয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: আমেরিকার চাপ, গাজায় স্বল্প সময়ের যুদ্ধ-বিরতিতে সায় ইজরায়েলের

তেল আভিভ, 8 নভেম্বর: হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের আজ 33তম দিন ৷ গাজার অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে ৷ এখন পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জখমদের চিকিৎসাতেও অ্যানাস্থেশিয়া ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ বিনা অ্যানাস্থেশিয়ায় শিশুদের অস্ত্রোপচার করতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন খোদ চিকিৎসকরাই ৷ রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব গতকালই বলেছেন, "শিশুদের কবরে পরিণত হয়েছে গাজা ৷"

আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইজরায়েলের লাগাতার আক্রমণে গাজায় প্রাণের আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে ৷ গাজায় হাসপাতালগুলিতে কোনও রকমে চিকিৎসা হচ্ছে ৷ বিদ্যুৎথেকে শুরু করে ওষুধের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় ৷ একসঙ্গে একাধিক রোগীর ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। বহু ভাবনা-চিন্তা করে তবে একজনকে ভেন্টিলটরের সুবিধে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে ৷ শিশুদের পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় ৷ কারও অঙ্গহানি হলে বা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করতে হলেও অ্যানাস্থেশিয়া ছাড়াই তা করতে হচ্ছে ৷ ক্ষতস্থান পরিষ্কারের জন্য মিলছে না পরিস্রুত জলটুকু ৷ আর এই সব বীভৎস ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷

অনেক চিকিৎসকরা এই অবস্থায় স্তম্ভিত ৷ এরকমটা আগে কখনও দেখেননি তাঁরা ৷ মধ্য গাজার আল আক্সা হাসপাতালের চিকিৎসক বাসেম আল নাজ্জার বলেন, "আমাদের চিকিৎসক দলটি শারীরিক ও মানসিক- দুই দিক দিয়েই ক্লান্ত ৷ কোনও কোনও চিকিৎসককে একটা গোটা সপ্তাহ হাসপাতালেই থাকতে হচ্ছে ৷ তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও হয়তো আহত হয়েছেন বা তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷ তাঁদেরও হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ আবার কয়েকজন চিকিৎসক বাড়ি ফিরেছেন এবং সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷" তিনি আরও জানান, হাসপাতালের তিন জন কর্মী বাড়ি গিয়েছিলেন ৷ সেখানেই ইজরায়েলের ছোড়া বোমায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে ৷

এক কথায় পৃথিবীতে এখন গাজাই নরক ৷ পরিষ্কার জল আর আয়োডিনের অভাবে রোগীদের ক্ষতস্থানে পোকা হয়ে গিয়েছে ৷ গাজার চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত জল, চিকিৎসক আর নার্স নেই হাসপাতালগুলিতে ৷ এতে রোগীদের পরিষ্কার রাখা সম্ভব হচ্ছে না ৷ নোংরা চাদর ধোয়া যাচ্ছে না ৷

হৃদরোগে আক্রান্ত কোনও রোগীকে হয়তো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ৷ এদিকে হাসপাতালের কর্মীরা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য এক রোগীকে সুস্থ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন ৷ কারণ, এই রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া রোগীর থেকে অনেক বেশি ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা কয়েকজন মাত্র রোগীই হাসপাতালে শয্যা পেয়েছেন ৷ আরও কম সংখ্যক রোগী ভেন্টিলেটর বা অ্যানাস্থেশিয়া পেয়েছেন ৷

আরও পড়ুন: আমেরিকার চাপ, গাজায় স্বল্প সময়ের যুদ্ধ-বিরতিতে সায় ইজরায়েলের

Last Updated : Nov 8, 2023, 1:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.