গাজা, 19 নভেম্বর: গাজা স্ট্রিপের প্রধান হাসপাতাল থেকে রবিবার তিরিশটি প্রি-ম্যাচিওর সদ্যজাতকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ তাদের উদ্ধার করে মিশরের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ৷ সংবাদসংস্থা এপি-র খবর অনুযায়ী, শিশুগুলির শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ ৷ অপরিণত অবস্থায় ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণে, একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজায় এখনও আহত বহু মানুষ আটকে রয়েছেন ৷ তাঁদের উদ্ধারের আগেই সেখানে ইজরায়েল সেনা পৌঁছে যাওয়ায়, তাঁদের বের করে আনা সম্ভব হয়নি ৷
গাজার শিফা হাসপাতালের ওই সদ্যজাতদের খবর বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলেছে ৷ চিকিৎসকরা তাদের প্রতিনিয়ত গরম রাখার চেষ্টা করে চলেছেন ৷ সেই সব মুহূর্তের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি ৷ উল্লেখ্য, গাজার হাসপাতালগুলির বাইরে ইজরায়েল সেনার সঙ্গে হামাস জঙ্গিদের যুদ্ধ চলছে ৷ এই হাসপাতালগুলির আড়ালেই হামাস জঙ্গিরা ইজরায়েল সেনার সঙ্গে যুদ্ধ করছিল ৷ হাসপাতালগুলির আশেপাশেই বাংকার তৈরি করে আত্মগোপন করে রয়েছে হামাসের জঙ্গি নেতৃত্বরা ৷
তাই আকাশপথে হাসপাতালগুলির আশেপাশে হামলা চালাতে পারছিল না ইজরায়েল ৷ গত 26 অক্টোবর ইজরায়েল সেনা গাজায় প্রবেশ করে হামলা শুরু করে ৷ একে একে হাসপাতাল এবং অন্যান্য সরকারি অফিসগুলির দখল নেয় ইজরায়েল ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার একটি দল শনিবার গাজার হাসপাতালগুলিতে পরিদর্শনে যায় ৷ যেখানে 291 জন রোগী এখনও ভরতি রয়েছেন ৷ যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে আহত ৷ সেখানে 32টি শিশু গুরুতর অবস্থায় ভরতি রয়েছে ৷ এমনকি ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এমন রোগীরাও ওই হাসপাতালে ভরতি আছেন ৷
জানা যাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার তরফেই হাসপাতাল থেকে তিরিশটি প্রি-ম্যাচিওর বাচ্চাকে উদ্ধার করা হচ্ছে ৷ তবে, সবাইকে উদ্ধার করে মিশরে স্থানান্তরিত করা গিয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস ৷ হু-এর তরফে এ নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি ৷ তার উপর বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছে ৷ সঙ্গে খাবার ও পানীয় জলের অভাব তো রয়েছেই ৷
আরও পড়ুন: