বেজিং, 13 অক্টোবর: বেজিংয়ে ইজরায়েলি দূতাবাসের এক কর্মচারী আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে খবর ৷ শুক্রবার তাঁর উপর অতর্কিতে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ এরপর তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ ইজরায়েল বিদেশমন্ত্রকের তরফে হামলার কথা জানানো হলেও চিন প্রাথমিভাবে হামলার কথা স্বীকার করেনি।
প্রাথমিভাবে এই হামলার সূত্রপাত সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা না থাকলেও, পরবর্তীকালে অবশ্য মনে করা হচ্ছে, ইজরায়েলে গত শনিবার থেকে হামাসের মারাত্মক হামলার পর চিনের তরফে যে বিবৃতি আসে তার তীব্র সমালোচনা করে ইজরায়েল ৷ তারপরই এই হামলার ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান ইজরায়েল বিদেশমন্ত্রকের ৷ যদিও মন্ত্রকের তরফে সংশ্লিষ্ট ওই কর্মচারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি ৷ পাশাপাশি ঘটনায় কোনও সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি ৷
ইজরায়েল বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কর্মচারীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে ৷ তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল ৷” সেই সঙ্গে, ইজরায়েলি আধিকারিকরা এখনও হামলার ঘটনার পটভূমি মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছেন বলে জানানো হয়েছে। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত রাফি হারপাজ মধ্যপ্রাচ্যের চিনা দূত ঝাই জুনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বলেছেন ৷ সেই সঙ্গে, হামাসের আক্রমণের পরে চিনের মন্তব্যের জন্য ইজরায়েল যে হতাশ তাও ব্যক্ত করেন রাফি ৷ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “নিরাপরাধ অসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস যে ভয়ানক গণহত্যা সংগঠিত করছে এমনকী বহু মানুষকে অপহরণ করে রেখেছে তার কোনও স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন নিন্দা করা হয়নি চিনের তরফে ৷”
আরও পড়ুন: 24 ঘণ্টার মধ্যে গাজা ছাড়ার নির্দেশ ইজরায়েলের, উপেক্ষা করতে বলল হামাস
অন্যদিকে, বেজিংয়ে অফিসারদের সাধারণ দল ছাড়াও প্রায় আধ ডজন সাধারণ পোশাকের পুলিশ ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে মোতায়েন ছিল। কিন্তু অভিযোগ, শুক্রবার দূতাবাসের তরফে বারবার ডাকা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি পুলিশের। বেজিংয়ের ফিলিস্তিনি দূতাবাসে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে সাদা পোশাকের অফিসাররাও ছিলেন ৷ তারপরও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ৷