মহেশতলা, 19 মার্চ: বাংলাদেশের নাবালিকাকে চাকরি দেওয়ার জন্য নিয়ে এসে এক বহুতলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দু'জনকে । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকাজুড়ে। ধর্ষণের অভিযোগে 2 জনকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার পুলিশ (Diamond Harbour Police District)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নাবালিকাকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশের বরিশাল থেকে যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতের বনগাঁ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের পূর্ব পরিচিত এক মহিলার সঙ্গে ভারতের শাড়ি ফ্যাক্টরিতে চাকরির উদ্দেশে এসেছিল বছর সতেরোর ওই নাবালিকা। কিন্তু ভারতে পৌঁছনোর পরেই ওই নাবালিকাকে জানায় শাড়ি ফ্যাক্টরিতে বর্তমানে চাকরি নেই। সেই মহিলা জানায় বার ডান্সারের কাজের ব্যবস্থা সে করে দিতে পারে। কিন্তু তাতে ওই নাবালিকা রাজি না-হওয়ায় সেখান থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে আবারও বনগাঁ স্টেশনে চলে যায় ৷
সেখান থেকে ঢাকার পূর্ব পরিচিত কোনও এক বন্ধুকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি মহেশতলা পৌরসভার 25 নম্বর ওয়ার্ডের নিশ্চিন্তপুরের বাসিন্দা আমিন আলি মোল্লার নম্বর ওই নাবালিকাকে দেন। আমিন আলি ওই নাবালিকাকে বলে শিয়ালদায় চলে আসতে ৷ পরবর্তী সময়ে আমিন স্কুটি চালিয়ে শিয়ালদা স্টেশন থেকে ওই নাবালিকাকে বাটানগরের হাইল্যান্ড গ্রিনের একটি বহুতল আবাসনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। অভিযোগ, গত 1 মার্চ থেকে সেই ফ্ল্যাটেই আমিন ওই নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। এরপর 6 মার্চ আমিন জানায় তুমি বাংলাদেশি, তাই পুলিশ তোমার খোঁজে ফ্ল্যাটে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার পড়শি যুবক, অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর
সেইমতো নিশ্চিন্তপুরেরই বাসিন্দা বছর আঠাশের শেখ বাপি পুলিশ পরিচয় দিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। শনিবার, ওই নাবালিকা ফাঁক পেয়ে চিৎকার করে ঘরের জানালা দিয়ে প্রতিবেশী অপর এক আবাসিককে জানালে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আবাসিক আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকে জানায়। তারাই মহেশতলা থানার পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে মহেশতলা থানায় নিয়ে আসার পাশাপাশি অভিযুক্ত ওই দুই ব্যক্তিকে শনিবার রাতেই গ্রেফতার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরো এলাকায় ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলার রুজু করেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।