ইসলামাবাদ, 18 অগস্ট : আগেও তিনি তালিবানকে সমর্থন করেছেন ৷ কাবুল দখলের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) দুনিয়ার অন্য দেশগুলিকেও বার্তা দিলেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের "সঙ্গে থাকতে" (stay engaged) ৷ আফগানবাসীর দিকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ৷ আর তাঁর দেশও সব "আফগান নেতা"র সঙ্গে যোগাযোগ করছে ৷
একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson), জার্মানির চ্যান্সেলর (German Chancellor) অ্যাঞ্জেলা মার্কেল (Angela Merkel) তাঁকে ফোন করে কথা বলেন এ বিষয়ে ৷ আফগানিস্তান থেকে বিভিন্ন কূটনীতিদের (Diplomatic Personnel) আর আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির কর্মীদের বের করে আনতে পাকিস্তানের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তাঁরা ৷
যদিও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (Pakistan Peoples Party) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari) আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক হাত নিয়েছেন ইমরানকে ৷ তিনি জানিয়েছেন পাকিস্তান তার প্রতিবেশী দেশটির দিকে আর মুখ ফেরাতে (U-turn) পারবে না ৷
আরও পড়ুন : Zabihullah Mujahid : নারীরা কাজ করতে পারবে, তবে ইসলামিক আইন মেনে; জানালেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফরেন পলিসির (European Union Foreign Policy) প্রধান জোসেপ বোররেল (Josep Borrell) জানিয়েছেন, ইইউ (EU) আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে, তবে দুটি শর্তে ৷ প্রথমত, আফগানিস্তানের সরকার যদি আফগানবাসীর মৌলিক অধিকারকে সম্মান জানায়, দ্বিতীয়ত আফগানিস্তানকে জঙ্গি গোষ্ঠীদের ব্যবহারে করতে বাধা দেবে ওই সরকার ৷ দেশে তালিবানদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব দেশই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে ৷
রবিবার কাবুল দখলের পর এখন দোহাতে ভবিষ্যৎ সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করছে তালিবান গোষ্ঠী ৷ নতুন সরকার গঠনের জন্য তারা আন্তর্জাতিক সংগঠন ও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করছে ৷