নয়াদিল্লি, 6 সেপ্টেম্বর : কী হবে পঞ্জশির উপত্যকার (Panjshir Valley) ভবিষ্যৎ ? আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎই বা কোন পথে এগোবে ? এই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা ৷ নেপথ্যে তালিবানের পঞ্জশির দখলের দাবি ৷ আফগানিস্তানের বাদবাকি সমস্ত অংশকে নিজেদের দখলে আনলেও পঞ্জশিরে এতদিন থাবা বসাতে পারেনি তালিব যোদ্ধারা ৷ কিন্তু, সোমবার তাদের তরফে দাবি করা হয়, সব বিরোধিতা গুঁড়িয়ে পঞ্জশিরও দখল করে ফেলেছে তারা ৷ আর তারপরই নাকি তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন নর্দার্ন অ্য়ালায়েন্সের অন্যতম নেতা 32 বছরের আহমেদ মাসুদ (Ahmed Massoud) ৷
আরও পড়ুন : Panjshir : পঞ্জশির দখলের দাবি তালিবানের, পাল্টা টুইট সালেহ্ বাহিনীর
হিন্দুকুশ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত পঞ্জশিরের জনসংখ্যা প্রায় 1 লক্ষ 75 হাজার ৷ গোটা উপত্যকাটিকে আগলে রেখেছে পঞ্জশির নদী (Panjshir River) ৷ আফগানিস্তানের এই পাহাড়ি প্রদেশের রাজধানী হল বাজারক (Bazarak) ৷ উত্তরে তাকে ঘিরে রয়েছে বাঘলান এবং তখর ৷ এছাড়া, পূর্বে বাদাখশন ও নুরিস্তান, দক্ষিণে লঘমন ও কপসিয়া এবং পশ্চিমে রয়েছে পরওয়ান ৷ এখানকার খাড়া পার্বত্য এলাকা কার্যত দুর্লঙ্ঘ্য ৷ হেঁটে বা সড়কপথে পঞ্জশিরে ঢোকা এক কথায় অসম্ভব ৷ তবে কিছু পথ রয়েছে, যেখানে দিয়ে যাতায়াত করা যায় ৷ কিন্তু সেই পথের হদিশ জানেন একমাত্র স্থানীয় বাসিন্দারাই ৷ ফলে বাইরে থেকে বিশাল বাহিনী নিয়ে ভিতরে ঢোকা অত্যন্ত কঠিন ৷ তাছাড়া, এখানকার তাজিক (Tajik) জনজাতিও অত্যন্ত লড়াকু ৷ তারা বাইরের মানুষের হস্তক্ষেপ একেবারেই পছন্দ করে না ৷ ফলে তালিবানের কাছেও পঞ্জশির উপত্যকা বরাবর নাগালের বাইরেই থেকেছে ৷
আরও পড়ুন : Panjshir : পঞ্জশিরে মাসুদের যুদ্ধবিরতির ডাক, মৃত্যু প্রতিরোধ বাহিনীর দুই শীর্ষ নেতার
তবে তালিবানের সঙ্গে সখ্য না থাকলেও আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্ (Amrulah Saleh) এবং আহমেদ মাসুদকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন পঞ্জশিরের আদিবাসী যোদ্ধারা ৷ এঁদের যৌথ প্রচেষ্টাতেই এতদিন পঞ্জশিরে তালিবানকে ঠেকানো সম্ভব হয়েছিল ৷ কিন্তু সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের মদতে শেষ পর্যন্ত পঞ্জশিরের প্রতিরোধ ভাঙতে সমর্থ হয়েছে তালিবান ৷ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (Inter-services Intelligence Directorate) তালিবানকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে বলে শোনা যাচ্ছে ৷ এমনকী, পঞ্জশিরে পাকিস্তানের তরফ থেকে ড্রোন হামলা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ৷ মনে করা হচ্ছে, এর ফলেই পঞ্জশিরে নিজেদের পতাকা তুলতে সমর্থ হয়েছে তালিব যোদ্ধারা ৷ আর সেই কারণেই নাকি সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষার স্বার্থে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন আহমেদ মাসুদ ৷ আফগানিস্তানে সার্বিক শান্তি ফেরাতেই এই উদ্যোগ বলে দাবি করা হচ্ছে নানা মহলে ৷