ETV Bharat / international

সৌদিতে সাম্প্রতিক কোরোনা মৃত্যুর তালিকায় 5 ভারতীয়

author img

By

Published : Apr 20, 2020, 7:00 PM IST

সৌদি আরবে বসবাসকারী ভারতীয়রা যাতে নিজেদের ক্ষোভ-দুর্দশার কথা জানাতে পারেন, তার জন্য দূতাবাসের তরফে একটি 24x7 হেল্পলাইন তথা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (+ 966546103992) এবং ইমেল (covid19indianembassy@gmail.com) আইডি চালু করা হয়েছে । এছাড়াও ভারতীয় চিকিৎসকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে ৷

কোভিড-১৯
কোভিড-১৯

নয়াদিল্লি, 20 এপ্রিল: সৌদি আরবে সম্প্রতি কোভিড-19-এ আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয়ও রয়েছেন । রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সেখানে পাঁচ ভারতীয়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে । এই পাঁচজনের তালিকায় রয়েছেন কেরালা থেকে শেবনাজ পালা কান্ডিল এবং সফভান নাদামল, মহারাষ্ট্র থেকে সুলেমান সইদ জুনেইদ, উত্তরপ্রদেশ থেকে বদ্রে আলম এবং তেলাঙ্গানা থেকে আজমাতুল্লাহ খান । অন্তত 20 লাখ ভারতীয় সৌদি আরবের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের গোষ্ঠী গড়ে তুলেছে ৷ এঁরা মূলত হসপিটালিটি সেক্টরে এবং খনিতে কাজ করেন ।

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ড. অউসফ সইদের তরফে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘সৌদি আরবে কোভিড-19 এর সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় দূতাবাস এবং এখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সুস্থ থাকার জন্য যা কিছু করণীয়, সেই সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে ৷’’

KSA অর্থাৎ কিংডম অফ সৌদি আরবে বসবাসকারী ভারতীয়রা যাতে নিজেদের ক্ষোভ-দুর্দশার কথা জানাতে পারেন, দূতাবাসের তরফে একটি 24x7 হেল্পলাইন তথা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (+ 966546103992) এবং ইমেল (covid19indianembassy@gmail.com) আইডি চালু করা হয়েছে । এছাড়াও ভারতীয় চিকিৎসকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে ৷ যাতে আপৎকালীন কোনও পরিস্থিতি এলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় এবং লকডাউনের আওতায় থাকাকালীন আগে থেকেই অসুস্থ থাকা বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া কোনও ভারতীয়র চিকিৎসার প্রয়োজন হলে প্রথমেই এই গ্রুপের চিকিৎসকদের থেকে সাহায্য লাভ করা যায় । এর পাশাপাশি আবার স্থানীয় অভিবাসী সংগঠনদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাস দেশের অগ্রণী খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা এবং ভারতীয় রেস্তোরাঁগুলির সঙ্গেও সংযুক্ত রয়েছে, যাতে প্রয়োজন পড়লে যেখানে যেখানে দরকার, সেখানে খাবার সরবরাহ করা যেতে পারে । আবার ভারতীয়দের জন্য কোনও কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি হলে সেখানেও প্রয়োজনে খাবার সরবরাহ করা যায় ।

বিশ্বের 53টি দেশে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে 3,300-রও বেশি কোরোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে 2100-রও বেশি (অন্তত 70 শতাংশ) উপসাগরীয় আরব দেশগুলির প্রতিনিধি । প্রায় 300 জন কোরোনা পজিটিভ ভারতীয়ের হদিশ মিলেছে ইরানের কোম এবং তেহরানে । ছ’টি GCC দেশে (বাহারিন, কুয়েত, কাতার, ওমান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি) 80 লক্ষেরও বেশি ভারতীয় কর্মরত আছেন । এই অভিবাসীদের অন্তত অর্ধেকই অদক্ষ বা ‘ব্লু কলার ওয়ার্কার্স’, অন্তত 30 শতাংশ হলেন কিছুটা দক্ষ আর 20 শতাংশ হলেন পুরোপুরি দক্ষ কর্মী ।

দূতাবাস বলেছে, ‘‘দেশের যে যে প্রধান সংস্থা ভারতীয়দের কর্মী হিসাবে নিয়োগ করেছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে ভারতীয় দূতাবাস এবং সংস্থাদের কাছে আবেদন জনানো হয়েছে, বিশেষত শ্রমিক হিসাবে যাঁরা কর্মরত, তাঁদের এবং বাকি সকলের স্বাস্থ্যের উপর যেন কড়া নজর রাখা হয়, আগাম সতর্কতামূলক সব রকম পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তাও যেন দেখা হয় ।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘‘দূতাবাসের তরফে এই বিষয়ের উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে যে, ভারতীয়রা যেন এই কঠিন সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখেন, শান্ত থাকেন, দায়িত্ববোধ এবং আত্ম-অনুশাসনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন এবং পরিস্থিতির সঙ্গে যাঁরা লড়াই করছেন,তাদের তথা সৌদি কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সমর্থন করেন । মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সব ধরনের সতর্কতামূলক নিয়মনীতি যেমন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা, বাড়িতে থাকা, জমায়েত এড়ানো প্রভৃতি মেনে চলতে হবে ।’’

উমরার মতো ধর্মীয় জনসভা, অফিস বন্ধ করে দেওয়া এবং উড়ান স্থগিত থাকার মতো বেশ কিছু আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও সৌদিকে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । উপসাগরীয় আরব দেশগুলিতে যে 17,000 কোরোনা পজিটিভের হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে 4,500-রও বেশি ঘটনা ঘটেছে শুধু সৌদিতেই । সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়া গত সপ্তাহেই এ কথা স্বীকার করেছেন যে, কর্মী, শ্রমিক এবং ভিড়ভাট্টাপূর্ণ এলাকাগুলিতে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে এবং তা প্রতিহত করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত 17 মার্চ সৌদির প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের কীভাবে এই রোগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো যায় তা নিয়ে সঙ্গে কথা বলেন । পরে আবার তাঁরা গত 26 মার্চ সৌদি প্রেসিডেন্সির অধিনায়কত্বে আয়োজিত G20 ভার্চুয়াল সামিটেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন যে, কীভাবে বিশ্বের সব দেশ একজোট হয়ে এই মহামারীর মোকাবিলা করতে পারে । ভারত এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আপাতত উপসাগরীয় এলাকা-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজ বন্ধ রাখা হবে । এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি পিটিশনের শুনানিও এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ‘‘ভারতে লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি এবং ভারতীয়দের নিরাপত্তা ও স্বার্থের কথা ভেবে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধের ফলে এই মুহূর্তে উদ্ধারকাজ চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই । তবে ভারত এবং সৌদি আরব, দুই দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই দূতাবাসের তরফে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং পরবর্তীকালে প্রয়োজন পড়লে বা কোনও উদ্যোগ নেওয়া হলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দূতাবাস যোগাযোগ করে নিতে পারবে ।’’ তবে দূতাবাসের এই বয়ান সত্ত্বেও মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর ভরাডুবি ঘটানো কোরোনা নামক এই মহামারীর প্রভাব অভিবাসীদের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে ।

নয়াদিল্লি, 20 এপ্রিল: সৌদি আরবে সম্প্রতি কোভিড-19-এ আক্রান্ত হয়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন ভারতীয়ও রয়েছেন । রিয়াধে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সেখানে পাঁচ ভারতীয়ের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে । এই পাঁচজনের তালিকায় রয়েছেন কেরালা থেকে শেবনাজ পালা কান্ডিল এবং সফভান নাদামল, মহারাষ্ট্র থেকে সুলেমান সইদ জুনেইদ, উত্তরপ্রদেশ থেকে বদ্রে আলম এবং তেলাঙ্গানা থেকে আজমাতুল্লাহ খান । অন্তত 20 লাখ ভারতীয় সৌদি আরবের বৃহত্তম প্রবাসী ভারতীয়দের গোষ্ঠী গড়ে তুলেছে ৷ এঁরা মূলত হসপিটালিটি সেক্টরে এবং খনিতে কাজ করেন ।

ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ড. অউসফ সইদের তরফে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘সৌদি আরবে কোভিড-19 এর সংক্রমণ পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় দূতাবাস এবং এখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সুস্থ থাকার জন্য যা কিছু করণীয়, সেই সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে ৷’’

KSA অর্থাৎ কিংডম অফ সৌদি আরবে বসবাসকারী ভারতীয়রা যাতে নিজেদের ক্ষোভ-দুর্দশার কথা জানাতে পারেন, দূতাবাসের তরফে একটি 24x7 হেল্পলাইন তথা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর (+ 966546103992) এবং ইমেল (covid19indianembassy@gmail.com) আইডি চালু করা হয়েছে । এছাড়াও ভারতীয় চিকিৎসকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করা হয়েছে ৷ যাতে আপৎকালীন কোনও পরিস্থিতি এলে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় এবং লকডাউনের আওতায় থাকাকালীন আগে থেকেই অসুস্থ থাকা বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া কোনও ভারতীয়র চিকিৎসার প্রয়োজন হলে প্রথমেই এই গ্রুপের চিকিৎসকদের থেকে সাহায্য লাভ করা যায় । এর পাশাপাশি আবার স্থানীয় অভিবাসী সংগঠনদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার মাধ্যমে ভারতীয় দূতাবাস দেশের অগ্রণী খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা এবং ভারতীয় রেস্তোরাঁগুলির সঙ্গেও সংযুক্ত রয়েছে, যাতে প্রয়োজন পড়লে যেখানে যেখানে দরকার, সেখানে খাবার সরবরাহ করা যেতে পারে । আবার ভারতীয়দের জন্য কোনও কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি হলে সেখানেও প্রয়োজনে খাবার সরবরাহ করা যায় ।

বিশ্বের 53টি দেশে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে 3,300-রও বেশি কোরোনা পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে 2100-রও বেশি (অন্তত 70 শতাংশ) উপসাগরীয় আরব দেশগুলির প্রতিনিধি । প্রায় 300 জন কোরোনা পজিটিভ ভারতীয়ের হদিশ মিলেছে ইরানের কোম এবং তেহরানে । ছ’টি GCC দেশে (বাহারিন, কুয়েত, কাতার, ওমান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি) 80 লক্ষেরও বেশি ভারতীয় কর্মরত আছেন । এই অভিবাসীদের অন্তত অর্ধেকই অদক্ষ বা ‘ব্লু কলার ওয়ার্কার্স’, অন্তত 30 শতাংশ হলেন কিছুটা দক্ষ আর 20 শতাংশ হলেন পুরোপুরি দক্ষ কর্মী ।

দূতাবাস বলেছে, ‘‘দেশের যে যে প্রধান সংস্থা ভারতীয়দের কর্মী হিসাবে নিয়োগ করেছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে ভারতীয় দূতাবাস এবং সংস্থাদের কাছে আবেদন জনানো হয়েছে, বিশেষত শ্রমিক হিসাবে যাঁরা কর্মরত, তাঁদের এবং বাকি সকলের স্বাস্থ্যের উপর যেন কড়া নজর রাখা হয়, আগাম সতর্কতামূলক সব রকম পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তাও যেন দেখা হয় ।’’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ‘‘দূতাবাসের তরফে এই বিষয়ের উপরে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে যে, ভারতীয়রা যেন এই কঠিন সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখেন, শান্ত থাকেন, দায়িত্ববোধ এবং আত্ম-অনুশাসনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন এবং পরিস্থিতির সঙ্গে যাঁরা লড়াই করছেন,তাদের তথা সৌদি কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সমর্থন করেন । মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সব ধরনের সতর্কতামূলক নিয়মনীতি যেমন সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা, বাড়িতে থাকা, জমায়েত এড়ানো প্রভৃতি মেনে চলতে হবে ।’’

উমরার মতো ধর্মীয় জনসভা, অফিস বন্ধ করে দেওয়া এবং উড়ান স্থগিত থাকার মতো বেশ কিছু আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও সৌদিকে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে । উপসাগরীয় আরব দেশগুলিতে যে 17,000 কোরোনা পজিটিভের হদিশ মিলেছে, তার মধ্যে 4,500-রও বেশি ঘটনা ঘটেছে শুধু সৌদিতেই । সৌদির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়া গত সপ্তাহেই এ কথা স্বীকার করেছেন যে, কর্মী, শ্রমিক এবং ভিড়ভাট্টাপূর্ণ এলাকাগুলিতে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে এবং তা প্রতিহত করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত 17 মার্চ সৌদির প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের কীভাবে এই রোগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো যায় তা নিয়ে সঙ্গে কথা বলেন । পরে আবার তাঁরা গত 26 মার্চ সৌদি প্রেসিডেন্সির অধিনায়কত্বে আয়োজিত G20 ভার্চুয়াল সামিটেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন যে, কীভাবে বিশ্বের সব দেশ একজোট হয়ে এই মহামারীর মোকাবিলা করতে পারে । ভারত এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আপাতত উপসাগরীয় এলাকা-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের কাজ বন্ধ রাখা হবে । এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি পিটিশনের শুনানিও এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ।

রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, ‘‘ভারতে লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি এবং ভারতীয়দের নিরাপত্তা ও স্বার্থের কথা ভেবে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধের ফলে এই মুহূর্তে উদ্ধারকাজ চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই । তবে ভারত এবং সৌদি আরব, দুই দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই দূতাবাসের তরফে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং পরবর্তীকালে প্রয়োজন পড়লে বা কোনও উদ্যোগ নেওয়া হলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দূতাবাস যোগাযোগ করে নিতে পারবে ।’’ তবে দূতাবাসের এই বয়ান সত্ত্বেও মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া এবং অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর ভরাডুবি ঘটানো কোরোনা নামক এই মহামারীর প্রভাব অভিবাসীদের এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.