ETV Bharat / international

সাক্ষী দুই বিশ্বযুদ্ধের, ব্রিটেনে কোরোনামুক্ত 106 বছরের বৃদ্ধা

কোরোনার উপসর্গ নিয়ে বার্মিংহাম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল টিনচেনকে । তিন সপ্তাহ পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি । মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ তিনি হাসপাতালে ভরতি হন ।

Connie Titchen
টিনচেন
author img

By

Published : Apr 17, 2020, 8:36 AM IST

বার্মিংহাম, 17 এপ্রিল: কোরোনার সঙ্গে যুদ্ধে বেঁচে ফিরলেন 106 বছরের বৃদ্ধা । নাম কোনি টিনচেন । 1913-এর সেপ্টেম্বরে জন্মেছিলেন টিনচেন । দু'টো বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন । এটা ছিল তাঁর কাছে আরও এক যুদ্ধ৷

ব্রিটেনে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বয়ঃজ্যেষ্ঠ বলে জানা গেছে । একটি বহুজাতিক সংস্থার সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একসময় কর্মরত ছিলেন টিনচেন । তাঁর সেরে ওঠায় খুশি বার্মিংহাম হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা ।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান টিনচেন । তিন সপ্তাহ ওই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি । মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ কোরোনা উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন তিনি । এরপর সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে জানা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত । টিনচেনের বড় নাতনি জানিয়েছেন, "কোনওদিনই সেরকমভাবে রোগ-ভোগে ভোগেননি টিনচেন । সবসময় এইরকম সুস্থ থাকুন সেটাই চাই । এখনও পর্যন্ত ঠাকুমা নিজের জন্য রান্না করেন । আগের মতো তিনি এখনও নিজের কর্মস্থানে যেতেও পছন্দ করেন । তবে ঠাকুমাকে জানানো হয়নি যে এখন রেস্তরাঁগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে ।"

বেশিরভাগ মানুষের কোরোনার প্রাথমিক উপসর্গ রূপে জ্বর ও সর্দি দেখা দিচ্ছে । টিনচেনেরও তাই ছিল ৷ প্রাথমিক অবস্থাতে চিকিৎসা করালে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ঠিকও হয়ে যাচ্ছেন অনেকে । তবে অনেকের ক্ষেত্রে জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দেখা দিচ্ছে । বয়স্ক মানুষ এবং আগেই যাঁরা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত তাঁদের পক্ষে এই রোগের সঙ্গে যুঝে ওঠা মুশকিল । আশঙ্কাটা বেশি থেকে যাচ্ছে তাঁদের ক্ষেত্রেই । মৃত্যু হচ্ছে অনেকের ।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেব অনুযায়ী ব্রিটেনে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 99,000 । কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে 12,800 জনের ।

বার্মিংহাম, 17 এপ্রিল: কোরোনার সঙ্গে যুদ্ধে বেঁচে ফিরলেন 106 বছরের বৃদ্ধা । নাম কোনি টিনচেন । 1913-এর সেপ্টেম্বরে জন্মেছিলেন টিনচেন । দু'টো বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন । এটা ছিল তাঁর কাছে আরও এক যুদ্ধ৷

ব্রিটেনে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে বয়ঃজ্যেষ্ঠ বলে জানা গেছে । একটি বহুজাতিক সংস্থার সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একসময় কর্মরত ছিলেন টিনচেন । তাঁর সেরে ওঠায় খুশি বার্মিংহাম হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা ।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান টিনচেন । তিন সপ্তাহ ওই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি । মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ কোরোনা উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন তিনি । এরপর সোয়াব টেস্টের রিপোর্টে জানা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত । টিনচেনের বড় নাতনি জানিয়েছেন, "কোনওদিনই সেরকমভাবে রোগ-ভোগে ভোগেননি টিনচেন । সবসময় এইরকম সুস্থ থাকুন সেটাই চাই । এখনও পর্যন্ত ঠাকুমা নিজের জন্য রান্না করেন । আগের মতো তিনি এখনও নিজের কর্মস্থানে যেতেও পছন্দ করেন । তবে ঠাকুমাকে জানানো হয়নি যে এখন রেস্তরাঁগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে ।"

বেশিরভাগ মানুষের কোরোনার প্রাথমিক উপসর্গ রূপে জ্বর ও সর্দি দেখা দিচ্ছে । টিনচেনেরও তাই ছিল ৷ প্রাথমিক অবস্থাতে চিকিৎসা করালে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ঠিকও হয়ে যাচ্ছেন অনেকে । তবে অনেকের ক্ষেত্রে জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দেখা দিচ্ছে । বয়স্ক মানুষ এবং আগেই যাঁরা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত তাঁদের পক্ষে এই রোগের সঙ্গে যুঝে ওঠা মুশকিল । আশঙ্কাটা বেশি থেকে যাচ্ছে তাঁদের ক্ষেত্রেই । মৃত্যু হচ্ছে অনেকের ।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেব অনুযায়ী ব্রিটেনে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 99,000 । কোরোনায় মৃত্যু হয়েছে 12,800 জনের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.