হোমেল (বেলারুশ),28 ফেব্রুয়ারি : ইউক্রেনের আর্জিতে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে রাশ টানতে রবিবারই ভোলোদেমির জেলেনস্কির কাছে শান্তি বৈঠকের প্রস্তাব গিয়েছিল রাশিয়ার তরফে ৷ কিন্তু বৈঠকের জন্য রাশিয়ার প্রস্তাবিত ভেন্যু মিনস্কে প্রথমে কোনওভাবেই যেতে রাজি ছিলেন না ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ৷ অবশেষে গোঁ ছাড়লেন তিনি ৷ জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রস্তাবে সম্মতি প্রদান করায় বেলারুশে সোমবার শুরু হল রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি বৈঠক (Negotiations between Russia and Ukraine begin in Belarus) ৷ অর্থাৎ, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পঞ্চমদিনের মাথায় আলোচনার টেবিলে দু'পক্ষ ৷
ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে প্রিপ্যাট নদীর পাশে আলোচনার টেবিলে বসার যে প্রস্তাব রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনের কাছে গিয়েছিল, প্রাথমিকভাবে সেই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না জেলেনস্কি (Ukraine had earlier refused to hold talks near Belarus) ৷ কারণ বেলারুশ সীমান্ত থেকেই রুশ সেনারা প্রথম আঘাত হেনেছিল ইউক্রেনে ৷ তাই পরিবর্তে শান্তি বৈঠকের জন্য পরিবর্তে পোল্যান্ডের ওয়ারশ, হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট, স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লোভা, তুরস্কের ইস্তানবুল কিংবা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুর নাম প্রস্তাব করেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ৷ তবে দেশের কথা ভেবে আলাপ-আলোচনায় শেষ পর্যন্ত বেলারুশেই বৈঠকে সম্মতি প্রদান করেন জেলেনস্কি ৷
প্রাক্তন সংস্কৃতি মন্ত্রী ভলোদিমির মেদিনস্কির নেতৃত্বে প্রস্তাবিত ভেন্যুতে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল পৌঁছে গিয়েছিল আগেই ৷ পরবর্তীতে শান্তি বৈঠকে পৌঁছয় ইউক্রেনের প্রতিনিধিরাও ৷ শান্তি বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকোভ ৷ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে যে বার্তা এসে পৌঁছেছে সেখানে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন থেকে অবিলম্বে সেনা প্রত্যর্পণ করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুক রাশিয়া ৷ শান্তি বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় হবে এটাই ৷
আরও পড়ুন : রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় রাজি, জানালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
রাশিয়ার তরফে মেদিনস্কি বলেন, "আগ্রাসনের শুরু থেকেই আমরা যত দ্রুত সম্ভব সমঝোতায় আসার কথা বলছিলাম ৷ দু'দেশের পক্ষেই এই সমঝোতায় আসা প্রয়োজন ছিল ৷"