লন্ডন, 30 জুন : অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AztraZeneca) ও ফাইজার-বায়োএনটেক (Pfizer) - দুটি টিকার দুটি ডোজ কোনও ব্যক্তি নিলে, তাঁর মধ্যে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে ৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি গবেষণার রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে ৷ এই রিপোর্ট এখনও কোথাও প্রকাশিত হয়নি ৷ এতে দাবি করা হয়েছে, ফাইজারের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা এর উল্টোটা অর্থাত্ অ্যাস্ট্রাজেনেকার পর ফাইজারের ডোজ চার সপ্তাহের ব্যবধানে নিলে সার্স-কভ-2-এর বিরুদ্ধে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে ৷
25 জুন ল্যানসেটের প্রি-প্রিন্ট সার্ভারে পোস্ট করা এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা যেটি ভারতে কোভিশিল্ড হিসেবে পরিচিত, এবং ফাইজার টিকা মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে নেওয়া হলে কোভিড 19 প্রতিরোধে ব্যবহার করা যেতে পারে ৷ এই দুই টিকা দু রকম ভাবে অর্থাৎ আগে কোভিশিল্ডের ডোজ ও পরে ফাইজারের ডোজ, অথবা আগে ফাইজারের ডোজ ও পরে কোভিশিল্ডের ডোজ - এ ভাবে প্রয়োগ করে তাতে কী ফল আসে, সে বিষয়ে গবেষণা চালান বিশেষজ্ঞরা ৷ গবেষণায় অংশ নেন 830 জন ৷ এর মধ্যে 463 জনকে 28 দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয় ৷ অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল 57.8 বছর ছিল ৷ মহিলা ছিলেন 45.8 শতাংশ ও পুরুষ ছিলেন 25.3 শতাংশ ৷
আরও পড়ুন: দিনের পর দিন ঘুরেও মিলছে না টিকার দ্বিতীয় ডোজ, আতঙ্কে ঘাটালবাসী
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পিডিয়াট্রিকস ও ভ্যাক্সিনোলজির সহকারী অধ্যাপক ম্যাথু স্নেপ জানান, "ফলাফলে দেখা গিয়েছে, চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি টিকার ডোজ দিলে যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে, তা শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার সীমার থেকে অনেক বেশি ৷"
আরও পড়ুন: ভারতের তৈরি কোভ্যাকসিন করোনার আলফা ও ডেলটা প্রজাতির উপর কার্যকর, জানালো এনআইএইচ
তবে স্নেপ আরও জানিয়েছেন, বেশি ভালো ফল পাওয়ার জন্য দুটি ডোজের ব্যবধান বেশি করতে বলা হয় ৷ বর্তমানে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার দুটি ডোজের জন্য যে 8-12 সপ্তাহের ব্যবধান রাখা হয়েছে, তার থেকে অনেকটাই কম দুটি মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ ডোজের চার সপ্তাহের ব্যবধান ৷ সেই ব্যবধান 12 সপ্তাহের হলে কী ফল হয়, তা খুব শিগগিরই তাঁদের কাছে চলে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷