দুর্গাপুর, 25 ফেব্রুয়ারি : অতর্কিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ । এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে সেদেশে আটকে বহু ভারতীয় ছাত্রছাত্রী ৷ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল ৮ টা নাগাদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
আপাতত ইউক্রেনে বিমান চলাচল বন্ধ । ভারত থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ডাক্তারি পড়তে যায় ইউক্রেনে । দুর্গাপুরের একই পরিবারের দুই যমজ কন্যা-সহ সেখানকার মোট 6 জন ছাত্রী ডাক্তারি পড়ছেন ইউক্রেনে । সবাই এখন হস্টেল ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাঙ্কারে (Durgapur Students stuck in Ukraine took shelter in bunker) । এই মুহূর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া ৷ ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই ৷ পড়ুয়াদের কাছে থাকা খাবার, জল ফুরিয়ে আসছে । বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ফলে স্বভাবতই মোবাইলে আর চার্জ দেওয়া যায়নি । তাই অনেকের সঙ্গেই পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Missile Attacks on Central Kyiv : মধ্য কিয়েভে বিস্ফোরণ, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ; জানালেন বিদেশমন্ত্রী কুলেবা
দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন আনন্দবিহারের বাসিন্দা ফিরোজ খানের মেয়ে নেহা খান 2019 সালে এমবিবিএস পড়তে পাড়ি দেন ইউক্রেনে । তাঁর সঙ্গে যান নঈমনগরের বাসিন্দা জিনত আলম ৷ গত ডিসেম্বরে কোকওভেন থানার অঙ্গদপুরের বাসিন্দা দুই যমজ বোন রুমকি ও ঝুমকি গঙ্গোপাধ্যায়ও ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছে ।
বিপাকে পড়া ছাত্রীদের হস্টেলের সামনে মুহুর্মুহু বোমা ফেলার কারণে শুক্রবার তাদের বাঙ্কারে রাখা হয়, জানান নেহার বাবা ফিরোজ খান । রুমকি ও ঝুমকির সঙ্গে গতকালের পরে আর যোগাযোগ হয়নি, জানিয়েছে তাঁর পরিবার । তাঁদের মোবাইলের চার্জ শেষ । জল, খাবার, বিদ্য়ুৎ সব মিলিয়ে চরম সঙ্কটে ছাত্রীরা । এই পরিবারগুলি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁদের মেয়েদের সুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরিয়ে আনা হোক । তবে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের উদ্বিগ্ন পরিবারগুলিকে ফোন করা হয়েছে । চাওয়া হয়েছে তাঁদের পাসপোর্ট ও ছবি ৷ জানিয়েছেন নেহা খানের বাবা ফিরোজ খান । ভারত সরকারের তরফেও ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার সবরকম প্রচেষ্টা করা হচ্ছে ৷