স্টকহোম, 8 অক্টোবর : সৌরজগত সম্পর্কে নয়া তথ্য, ব্রহ্মাণ্ডের বিবর্তন, মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্যের নিরন্তর গবেষণাই এনে দিল নোবেল ৷ সৌরজগতের বাইরেও রয়েছে সূর্যের মতোই আরও এক নক্ষত্র ৷ রয়েছে এমন এক গ্রহ, এক্সোপ্ল্যানেট, যা ওই নক্ষত্রকে ঘিরে পাক খাচ্ছে ৷ 1995 সালে এমন গ্রহ আবিষ্কার করেছিলেন দুই বিজ্ঞানী ৷ অপর এক বিজ্ঞানী বুঝিয়েছিলেন ব্রহ্মাণ্ডের সূচনা মুহূর্তের কিছু জটিল রহস্যের কথা ৷ এই আবিষ্কারের জন্যই চলতি বছরে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী জেমস পিবলস, মাইকেল মেয়র ও দিদিয়ের কেলোজ় ৷ স্টকহোমে আজ পুরস্কারপ্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে ৷ পুরস্কার অর্থ নয় মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার ৷
ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি সম্পর্কে নয়া তথ্যেরও সন্ধান করেছেন এই তিন জন ৷ 51 পেগাসি বি নামে এই গ্যাসের বলয়ের আকারের গ্রহটি আবিষ্কারের করেছেন বছর সাতাত্তরের মাইকেল মেয়র ও বছর পঞ্চান্নর দিদিয়ের কোলেজ় ৷ এটিই বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহ যেটি সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে ঘিরে পাক খাচ্ছে ৷ আকাশগঙ্গা ছায়াপথে সেটিও সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে ৷ হাইড্রোজেন পরমাণুর সঙ্গে জুড়ে এটি হিলিয়াম গ্যাস তৈরি করে গ্রহটির কেন্দ্রে ৷ এরপরে যদিও কয়েক হাজার এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কৃত হয়েছে আমাদের সৌরমণ্ডলের বাইরে ৷
এই মুহূর্তে সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন পদার্থবিদ মাইকেল মেয়র ৷ ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক কোলেজ় ৷ যদিও এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কারের সময় দু'জনেই যুক্ত ছিলেন জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৷ ব্রহ্মাণ্ড যে কোনও এক দিন জন্মেছিল, তা প্রমাণ হয়েছে বছর 50 আগে । মহাবিশ্বের রহস্য উদঘাটনের অন্যতম কারিগর কানাডার বিজ্ঞানী পিবলস ৷ মহাবিশ্বে পৃথিবীর স্থান আদৌ কোথায়, কীভাবে সৃষ্টি হল ব্রহ্মাণ্ড, কীভাবে বিবর্তন হল ব্রহ্মাণ্ডের, এ সব কিছুই পিবলসের গবেষণার বিষয় ৷ এই মূহূর্তে 84 বছরের বিজ্ঞানী নিরন্তর গবেষণায় যুক্ত রয়েছেন নিউ জার্সির প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷
আগামীকাল 4টা 45 মিনিটে রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স থেকে রসায়নবিদ্যা নোবেল প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হবে ৷ 10 অক্টোবর বিকেল 5টায় দ্য রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি থেকে সাহিত্যে নোবেল এবং 11 অক্টোবর নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে চলতি বছরে শান্তি নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।