লন্ডন, 1 জানুয়ারি : ব্রেক্সিটের প্রক্রিয়া শেষ হল। বৃহস্পতিবার ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক বিভাজন হয়। তার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ হল। ফলে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আকারে আরও ছোটো হয়ে গেল। আর ব্রিটেন কোরোনা বিধ্বস্ত এই পৃথিবীতে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল।
লন্ডনের সময় অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত 11টা নাগাদ এই বিচ্ছেদ ঘটে। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাওয়া গেল বলে মনে করছেন ব্রেক্সিট সমর্থকরা। তবে এর জেরে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হল। ফলে, নতুন কিছু নিয়মও আরোপ হয়েছে। যদিও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মতে, এটা তাঁদের দেশের জন্য অসাধারণ মুহূর্ত। একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি এই কথা জানিয়েছেন।
রাজনৈতিকভাবে ব্রেক্সিট হওয়ার 11 মাস পর শেষ পর্যন্ত একেবারে আলাদা হল ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রেক্সিটের জন্য 2016 সালে ভোট দিয়েছিল ব্রিটেন। তার পর থেকে ব্রেক্সিটের সমর্থকরা অপেক্ষায় ছিলেন এই মুহূর্তের জন্য। যদিও কোরোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকায় সেভাবে ব্রেক্সিটের উৎসব পালিত হয়নি।
তবে ব্যবসা বাণিজ্যর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম মানতে হবে ব্যবসায়ীদের। সীমান্ত ও শুল্ক সংক্রান্ত নজরদারিও বাড়বে। ফলে, নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটা সময়ও লাগবে। সেই কারণেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্য পরিবহণ বন্ধ রেখেছে।
এদিকে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশের বাসিন্দাদের নতুন নিয়ম সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কারণ, এতদিন ব্রিটেনে অবাধে চলাচল করতে পারতেন। কিন্তু, এখন আর তা হবে না। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে কাউকে ব্রিটেনে আসতে লাগবে ভিসা। সবচেয়ে সমস্যায় পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজ়ারের ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
ব্রিটেন যখন উচ্ছ্বসিত, তখন হতাশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাঁকর জানান, ব্রিটেন তাঁদের প্রতিবেশী, বন্ধু ও সহযোগী থেকে যাবে।