কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি : বিমান তখন মাঝ আকাশে ৷ বাইরে অন্ধকার ৷ ঘড়িতে প্রায় রাত তিনটে ৷ ব্যাংকক পৌঁছাতে অনেকটা দেরি ৷ যাত্রীদের অধিকাংশই তখন ঘুমোচ্ছেন ৷ জেগে ছিলেন দু-চারজন ৷ তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ ধরে নজর রাখছিলেন, বছর তেইশের এক যুবতি উশখুশ করছেন ৷
নিজেকে অনেকক্ষণ ধরেই শান্ত রাখার চেষ্টা করছিলেন যুবতি ৷ তবে, শেষ পর্যন্ত নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি ৷ শুরু চিৎকার ৷ হঠাৎ এইভাবে একজনের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় সহযাত্রীদের ৷ বুঝতে পারেন, প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তিনি ৷ ছুটে আসেন বিমান সেবিকারা ৷ ততক্ষণে যন্ত্রণা আরও বেড়েছে ৷ বিমানে কোনও চিকিৎসকও ছিলেন না ৷ খবর দেওয়া হয় পাইলটকে ৷ কাছে তখন কলকাতা বিমানবন্দর ৷ যোগাযোগ করা হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে ৷ অনুমতি চাওয়া হয় জরুরি অবতারণের ৷ সেই মতো কলকাতা বন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানটি ৷ তবে, ততক্ষণে মাঝ আকাশেই এক ফুটফুটে শিশুর জন্ম দিয়ে ফেলেছেন ওই যুবতি ৷
কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর সদ্যজাত ও যুবতিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা ও শিশু দু'জনই সুস্থ ৷ জানা যায়, যুবতি থাইল্যান্ডের বাসিন্দা ৷ কাতার এয়ার ওয়েজের বিমানে ওমান থেকে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন তিনি ৷ খুব শীঘ্রই ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ তারপর নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন তাঁরা ৷