নয়াদিল্লি, 18 ডিসেম্বর : করোনা ভাইরাসের নবতম সংস্করণ ওমিক্রনের (new COVID-19 variant Omicron) সংক্রমণ ঠেকাতে কোভিডবিধি পালন-সহ জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার উপর গুরুত্ব দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) ৷ হু-এর (WHO) বক্তব্য, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রমাণিত হয়েছে ৷ এরপরও যদি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে বিপদ আরও বাড়বে ৷ তবে কোভিডবিধি কঠোরভাবে পালন করলে ওমিক্রনের সংক্রমণও ঠেকানো সম্ভব ৷ এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হু-এর আঞ্চলিক অধিকর্তা পুনম ক্ষেত্রপাল সিং ৷
আরও পড়ুন : Sputnik Light Booster : ওমিক্রন রুখতে অন্য ভ্য়াকসিনের কার্যকরী ক্ষমতা বাড়ায় স্পুটনিক লাইট বুস্টার
এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করে পুনম বলেন, ‘‘যাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা সবথেকে বেশি এবং যাঁরা সবথেকে কম সুরক্ষিত, তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে ৷’’ আসলে তিনটি বিষয়ে নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে, সেই কারণেই ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে আশঙ্কা বাড়ছে ৷ প্রথমত, ওমিক্রন দ্রুত ছড়ায়, এটা তো জানা হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, সেই দ্রুততার হার ঠিক কতটা, তা নিয়ে কোনও সর্বজনগ্রাহ্য প্রমাণ নেই ৷ দ্বিতীয়ত, বিশ্ববাসীর হাতে থাকা টিকা ওমিক্রনকে রুখতে কতটা সক্ষম, তা জানা নেই ৷ আর তৃতীয়ত, ওমিক্রনের আগমনের আগে যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের শরীরে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ওমিক্রনকে ঠেকাতে পারে কিনা, সেই বিষয়েও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা ৷
পুনম জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, সংক্রমণের গতিতে পূর্বসূরি ডেল্টাকে বহুগুণ পিছনে ফেলে দিতে সক্ষম ওমিক্রন ৷ এবং গত কয়েক মাস ধরে করোনা ভাইরাসের এই নতুন স্ট্রেইন পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ সেই ধারা এখনও অব্যাহত ৷ তাই সতর্ক হওয়া ছাড়া যে গতি নেই, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, আগে করোনায় আক্রান্ত হলে, কিংবা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকলেও ওমিক্রনে আত্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় ৷ তবে এই বিষয়ে এখনই বিস্তারিতভাবে কিছু বলার সময় আসেনি ৷
আরও পড়ুন : Omicron in India : ভারতে ওমিক্রনের সেঞ্চুরি, দেশবাসীকে সতর্ক হওয়ার বার্তা কেন্দ্রের
আগামী দিনে ওমিক্রন আক্রান্তদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভাইরাসের এই সংস্করণটিকে বুঝতে আরও সহযোগিতা করবে বলেই মনে করেন পুনম ৷ তিনি বলেন, ‘‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওমিক্রন সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য হাতে পেয়ে যাব আমরা ৷ তবে ওমিক্রনকে কিছুতেই হালকাভাবে নিলে চলবে না ৷’’ আর এই কারণেই সমস্ত দেশের গণস্বাস্থ্য় পরিকাঠামোকে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখতে হবে বলে মনে করেন পুনম ৷