কাবুল, 30 অগস্ট : পরপর হামলা ৷ গতকাল রাতে ফের কাবুলে বিস্ফোরণ ঘটে ৷ বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়িতে রকেট হামলার ফলে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানা যায় ৷ ঠিক সেইসময় পাল্টা আঘাত আনে আমেরিকা ৷ আমেরিকা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আত্মঘাতী বোমা ভর্তি গাড়ি কাবুল বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল ৷ বিমানবন্দরে নাশকতার ছক ছিল ৷ ড্রোন হামলার মাধ্যমে তা নিকেশ করা হয়েছে ৷ আমেরিকার দাবি, কয়েকজন আইএস জঙ্গিও ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে ৷
আফগানিস্তান তালিবানদের দখলে আসার পর থেকেই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে ৷ বিভিন্ন দেশের নাগরিক থেকে আফগানবাসী, প্রত্যেকেই দেশ ছাড়তে ব্যস্ত ৷ কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মানুষের ভিড়ে ঠাসা ৷ প্রত্যেকের চোখে-মুখে আতঙ্ক ৷ আর প্রতীক্ষা ৷ কখন তাদের পালা আসবে ৷ বিমান এসে তাঁদের নিয়ে যাবে ৷
এরই মধ্যে 26 অগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের কাছে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ৷ এই বিস্ফোরণের আঁচ করা গিয়েছিল ৷ আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে কাবুল বিমানবন্দরে এমন বিস্ফোরণের আশঙ্কার কথা পশ্চিমি দেশগুলো তরফে আগেই জানানো হয়েছিল ৷ মানুষকে বিমানবন্দরটি পারতপক্ষে এড়ানোর চেষ্টা করার কথাও বলা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তা সম্ভব হয়নি ৷ কারণ মানুষ আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া ৷ এই হামলার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃত্যু হয়েছে মার্কিন সেনার ৷
এই হামলার পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে দিয়েছিলেন 24-36 ঘণ্টার মধ্যে কাবুল বিমানবন্দরে ফের জঙ্গি হামলা হতে পারে ৷ তাঁর আশঙ্কাই সত্যি হল ৷ গতকাল কাবুল বিমানবন্দরের কাছে একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় । সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা কিছু ছবিতে দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরের কাছে বাড়িগুলির উপরে ধোঁয়ার কালো মেঘ ৷ তারই একটিতে রকেট হামলা হয়েছে ৷ রকেটটি বিমানবন্দরে সরাসরি আঘাত করেনি ৷
ঠিক সেইসময়ই আমেরিকার তরফে ড্রোন হামলা করা হয় ৷ মার্কিন নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন বিল আরবানের দাবি, একটি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল ৷ ওই গাড়ি লক্ষ্য করেই ড্রোন হামলা চালানো হয় ৷ লক্ষ্য সফল হয়েছে ৷ আর এই হামলায় কয়েকজন আইএস জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি তাঁর ৷