করাচি, 26 অক্টোবর : পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান জেনেরাল কোমার জাভেদ বাজওয়া এবং ISI প্রধান লেফটেন্ট ফাইজ হামিদকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফ ৷ 19 অক্টোবর থেকে পাকিস্তানে চলা অস্থির পরিস্থিতির প্রতিবাদে করাচি, গুরজানওয়ালা এবং কোয়েট্টা প্রদেশে তিনটি বিশাল জনসমাবেশের ডাক দেয় সেখানকার বিরোধী মহাজোট ৷ তাদের দাবি একটাই, এই মুহূর্তে নিজের ব্য়র্থতা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিক ইমরান খান ৷
পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক আন্দোলন নাম দিয়ে এগারোটি বিরোধী দল একজোটে ইমরান খানের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে ৷ 20 সেপ্টেম্বর সরকারিভাবে এই জোট গঠনের কথা ঘোষণা করে বিরোধীরা ৷ সেই বিরোধী ঐক্য়ের মঞ্চেই আজ লন্ডন থেকে একটি ভিডিয়ো বার্তা দেন নওয়াজ় শরিফ ৷ তিনি সেনা ও ISI-কে নিশানা করে বলেন, 2018 সালে ভোটের সময় যথেচ্ছভাবে রিগিংয়ের মাধ্য়মে এবং সাংসদদের কিনে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হয়েছিল ৷ যার ফলে আজ পাকিস্তানের মানুষ অনাহারে এবং অর্থাভাবে ভুগছে ৷ এর জন্য় জেনেরাল বাজওয়াকে জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য় করেন নওয়াজ় ৷ PML-N প্রধান নওয়াজ শরিফ বর্তমানে হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন ৷ তবে শুধু সেনা প্রধান নয়, নওয়াজের নিশানায় ছিলেন পাকিস্তান গুপ্তচর সংস্থা ISI প্রধান লেফটেন্ট ফাইজ হামিদও ৷ হামিদকে নিশানা করে নওয়াজ় শরিফ বলেন, নিজের শপথবাক্য় থেকে সরে এসে হামিদ একাধিকবার পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে ৷ এমনকী বর্তমানেও তাই করে আসছে ISI । পাশাপাশি, দেশের সেনার প্রতি যে তিনি যে শ্রদ্ধাশীল তাও স্পষ্ট করে দেন নওয়াজ শরিফ ৷ বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই নাম নিয়ে ব্য়ক্তিগতভাবে এদের আক্রমণ করছেন ৷ কারণ পাকিস্তান সেনাকে তিনি অসম্মান করতে চান না ৷
পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও ইমরান খানের সরকারকে আক্রমণ করেন ৷ তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানে গণতন্ত্র বলে কিছুই বেঁচে নেই ৷ তা না হলে সংবাদমাধ্য়ম এমনকী বিচার ব্য়বস্থাকেও নিয়ন্ত্রণ করা হত না ৷ বালোচিস্তান থেকে দিনের পর দিন অপহরণের বিষয়টিও প্রতিবাদ সভায় উঠে আসে ৷