ETV Bharat / international

কোরোনা গল্পে মশগুল পাইলটরা, তার জেরে ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের বিমান !

কোনও প্রযুক্তিগত ভুল নয় ৷ বিমান অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে কোরোনা নিয়ে গল্পে ব্যস্ত ছিলেন A-370 বিমানের পাইলটরা । আর তাতেই আছড়ে পড়েছিল বিমানটি । প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য ।

author img

By

Published : Jun 24, 2020, 8:23 PM IST

Airbus A370
ভেঙে পড়া A370

ইসলামাবাদ, 24 জুন : বিমানের টেক-অফ আর ল্যান্ডিং । বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই দু'টি সময়ই একজন পাইলটের দক্ষতার সবথেকে বেশি পরীক্ষা নেয় । এই সময়ে সামান্য ভুল মানেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে নিমেষে । কিন্তু, বিমান চালানোর এই সহজপাঠটিই সেদিন ভুলে গেছিলেন ককপিটের পাইলটরা । ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে কোরোনা প্যানডেমিকের সংক্রমণ নিয়ে গল্পে মশগুল ছিলেন দু'জনে । আর সেই থেকেই দুর্ঘটনা । 98 জন যাত্রীকে নিয়ে করাচিতে আছড়ে পড়েছিল A-320 বিমানটি । এক লহমায় প্রাণ হারিয়েছিলেন 97 জন ।

পাইলট এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুলের জন্যই ভেঙে পড়েছিল A-320 । প্রাথমিক তদন্তের পর রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে । গতমাসের 22 জুন । অবতরণের কিছু আগে করাচি শহরে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি । সেই সময় ইঞ্জিন ফেলিওরের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছিল পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ।

প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পরে পাকিস্তানের অসামরিক বিমানমন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান জানিয়েছেন, "পাইলট বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার, দু'পক্ষের কেউই বিমান চালানোর আদর্শ আচরণবিধি মানেননি ।" তিনি আরও জানিয়েছেন, বিমান অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে পাইলটরা কোরোনা প্যানডেমিকের সংক্রমণ নিয়ে আলোচনা করছিলেন । এর ফলে বিমান অবতরণের দিকে তাঁদের মনোনিবেশ ছিল না ।

জানা গেছে যে দল এই ঘটনার তদন্ত করছে তারা সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে ও যে যে ভয়েস রেকর্ডার পাওয়া গেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ।

পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, "বিমানে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না । উড়ানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল বিমানটি । "

প্রসঙ্গত, 22 মে-র দুর্ঘটনাটি পাকিস্তানের বিগত আট বছরে সবথেকে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা । 98 জন যাত্রীকে নিয়ে লাহোর থেকে করাচি উড়ে যাচ্ছিল বিমানটি । অবতরণের কিছু আগে সেটি করাচি শহরে ভেঙে পড়ে । শেষ কথা ছিল ‘‘মে’ডে, মে’ডে, ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছে ৷’’ এর এক মিনিটের মধ্যেই পাকিস্তানের মালিরের মডেল কলোনির জিন্না গার্ডেনের কাছে ভেঙে পড়েছিল A320 বিমান ৷

ইসলামাবাদ, 24 জুন : বিমানের টেক-অফ আর ল্যান্ডিং । বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই দু'টি সময়ই একজন পাইলটের দক্ষতার সবথেকে বেশি পরীক্ষা নেয় । এই সময়ে সামান্য ভুল মানেই সব শেষ হয়ে যেতে পারে নিমেষে । কিন্তু, বিমান চালানোর এই সহজপাঠটিই সেদিন ভুলে গেছিলেন ককপিটের পাইলটরা । ল্যান্ডিংয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে কোরোনা প্যানডেমিকের সংক্রমণ নিয়ে গল্পে মশগুল ছিলেন দু'জনে । আর সেই থেকেই দুর্ঘটনা । 98 জন যাত্রীকে নিয়ে করাচিতে আছড়ে পড়েছিল A-320 বিমানটি । এক লহমায় প্রাণ হারিয়েছিলেন 97 জন ।

পাইলট এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের ভুলের জন্যই ভেঙে পড়েছিল A-320 । প্রাথমিক তদন্তের পর রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে । গতমাসের 22 জুন । অবতরণের কিছু আগে করাচি শহরে ভেঙে পড়েছিল বিমানটি । সেই সময় ইঞ্জিন ফেলিওরের জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছিল পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ।

প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে আসার পরে পাকিস্তানের অসামরিক বিমানমন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান জানিয়েছেন, "পাইলট বা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার, দু'পক্ষের কেউই বিমান চালানোর আদর্শ আচরণবিধি মানেননি ।" তিনি আরও জানিয়েছেন, বিমান অবতরণের ঠিক আগের মুহূর্তে পাইলটরা কোরোনা প্যানডেমিকের সংক্রমণ নিয়ে আলোচনা করছিলেন । এর ফলে বিমান অবতরণের দিকে তাঁদের মনোনিবেশ ছিল না ।

জানা গেছে যে দল এই ঘটনার তদন্ত করছে তারা সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে ও যে যে ভয়েস রেকর্ডার পাওয়া গেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে ।

পাকিস্তানের অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, "বিমানে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না । উড়ানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল বিমানটি । "

প্রসঙ্গত, 22 মে-র দুর্ঘটনাটি পাকিস্তানের বিগত আট বছরে সবথেকে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা । 98 জন যাত্রীকে নিয়ে লাহোর থেকে করাচি উড়ে যাচ্ছিল বিমানটি । অবতরণের কিছু আগে সেটি করাচি শহরে ভেঙে পড়ে । শেষ কথা ছিল ‘‘মে’ডে, মে’ডে, ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছে ৷’’ এর এক মিনিটের মধ্যেই পাকিস্তানের মালিরের মডেল কলোনির জিন্না গার্ডেনের কাছে ভেঙে পড়েছিল A320 বিমান ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.