নয়াদিল্লি, 27 অক্টোবর : চিনের নতুন স্থল সীমান্ত আইনের সমালোচনা করল ভারত ৷ চিনের এই সিদ্ধান্তকে বুধবার একতরফা বলেও জানান বিদেশমন্ত্রকের (Ministry of External Affairs) মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি ৷ বিষয়টি উদ্বেগের বলেও মনে করেন তিনি ৷ এই আইনটি সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাগচি। পাশাপাশি ভারতের পক্ষে দাবি, এই নতুন আইন অনুযায়ী চিন 1963 সালের তথাকথিত চিন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তিকেও কোনও বৈধতা দেয় না ৷
গত সপ্তাহে জিংপিং সরকারে জাতীয় আইনসভা তাদের স্থল সীমান্ত এলাকার সুরক্ষার কথা ভেবে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে ৷ সেদেশের সংবাদসংস্থা জিংহুয়া (Xinhua news agency) জানায়, আগামী বছর 1 জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হতে চলেছে ৷ ভারতের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে, নতুন এই আইন ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধের উপর প্রভাব ফেলতে পারে । সেই প্রক্ষিতেই একাধারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার ৷ পাশাপাশি এই আইনের সমালোচনাও করছে কেন্দ্র ৷
এদিন নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, "ভারতের তরফে এটা আশা করা হচ্ছে যে, চিন এই আইনের অজুহাতে এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না, যাতে ভারত-চিন সীমান্ত অঞ্চলের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয় ৷" তিনি জানান, চিনের এমন একতরফা সিদ্ধান্ত দু'দেশের সীমান্ত প্রশ্নেই হোক বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Actual Control- LAC) বরাবর শান্তি বজায় রাখার জন্য উভয়পক্ষ ইতিমধ্যে যে ব্যবস্থায় পৌঁছেছে তার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না ।
সংবাদমাধ্যমকে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, 23 অক্টোবর পাশ হওয়া এই আইনে চিন স্থল সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশি দেশগুলির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মেনে চলে বলে জানানো হয়েছে । পাশাপাশি আইনে সীমান্ত এলাকায় জেলা পুনর্গঠনেরও কথাও বলা হয়েছে ৷ ভারত এবং চিনের মধ্যে এখনও সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়গুলির সমাধান হয়নি ৷ উভয়পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে একটি যুক্তিসঙ্গত এবং উভয়ের কাছেই গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে সম্মত হয়েছে ৷ ভারত এবং চিন উভয়েই সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) বরাবর শান্তি বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি, প্রোটোকল ইত্যাদির ব্যবস্থাও করেছে ৷ এখন ভারত আশা করছে যে, এই নতুন আইনের অজুহাতে চিন সেসব এড়িয়ে যাবে না ।
আরও পড়ুন : India-China 13th Meet : এলএসি-র মলডোতে ভারত-চিন 13তম বৈঠক