ইউহান, 15 জুন : উপরে ব্যানারে লাল রঙে লেখা, ‘ওয়েলকামিং দ্য গ্র্যাজুয়েটস অফ 2020 ব্যাক হোম ৷ উই উইশ ইউ অল এ গ্রেট ফিউচার ৷’ তার নীচে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী বসে আছেন পাশাপাশি মাস্ক ছাড়াই ৷ এ দৃশ্য স্বয়ং ইউহান বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের ৷ সেই ইউহান যার ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিকেই করোনা ভাইরাসের আঁতুড় বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ ৷ গত কয়েক মাসে ল্যানসেট-সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকাতে প্রকাশিত রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণাগারের দিকেই আঙুল তুলেছেন ৷ এ বছরের গোড়ায় হু-র বিশেষজ্ঞের একটি দল চিনে গিয়েছিল করোনা ভাইরাসের উৎস খুঁজতে ৷ তবে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে তাদের ৷ হু জানিয়েছে, এখনও রোজ 10000 লোক মারা যাচ্ছে ৷
ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষণাগার থেকেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, বারে বারে এই তত্ত্বের প্রতিবাদ করেছে চিন ৷ কিন্তু সুপার পাওয়ার বেজিংয়ের সেই দাবি ধোপে টেকেনি ৷ ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত জি-7 সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনা ভাইরাসের উৎস সন্ধানের দাবি তুলেছেন ৷ এমনকি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও চিনকে এ বিষয়ে স্বচ্ছ হওয়ার বার্তা দেন ৷ সম্প্রতি হু-কর্তৃপক্ষও চিনকে আরও বেশি সহযোগিতা করতে বলেছে করোনার উৎস সন্ধানে ৷
2019-এর শেষে চিনের ইউহান শহরের হুবেই প্রদেশের একটি বাজারে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় ৷ এর পর এখন সারা দুনিয়া হিমশিম খাচ্ছে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৷ তবে 1 কোটি 10 লক্ষ মানুষের এই ইউহানে শুরুতেই কড়া লকডাউন চালু হয়েছিল ৷ লাগাতার 76 দিন বন্ধ থাকার পর কিছু ছাড় দিয়ে লকডাউন উঠলেও জারি ছিল কড়া বিধিনিষেধ ৷ অবশ্য চিন এখন করোনামুক্ত ৷
আরও পড়ুন : কোভিড-19-এর উৎস নিয়ে চিনকে আরও স্বচ্ছ হওয়ার বার্তা বাইডেনের
কোভিড-19 প্যানডেমিকের পর এই প্রথম স্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে প্রকাশ্যে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হল ৷ উপস্থিত ছিলেন প্রায় 11,000 ছাত্রছাত্রী ৷ গত বছরের জুনে অনলাইনে হলেও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সবাই মাস্ক পরে ছিলেন ৷ এবার প্রাক-করোনা ছবি ফিরে এসেছে চিনে ৷
ছাত্রছাত্রীদের জন্য চিনের পুরনো একটি কবিতার লাইন লেখা ছিল ব্যানারে, ‘লাফ দিতে পারে এমন মাছেদের জন্য মহাসাগর সীমাহীন ৷’