ওয়েলিংটন, 7 এপ্রিল : কোরোনার বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে নেমেছে গোটা দেশ । সংক্রমণ রুখতে একাধিক দেশে জারি করা হয়েছে লকডাউন । লকডাউন না মানলে কড়া ব্যবস্থাও নিচ্ছে প্রশাসন । কিন্তু মন্ত্রী নিজেই যদি না মানেন লকডাউন ? হ্যাঁ, এমনই হয়েছে নিউজ়িল্যান্ডে । লকডাউনের নিয়ম ভাঙার দায়ে পদ হারালেন নিউজ়িল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক ।
কিছুদিন আগেই আইসোলেশনে থাকাকালীন সময়ে মাউন্টেন বাইকিং করার কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি । সেই সমালোচনাকে আরও উসকে দিয়ে নিউজ়িল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি গাড়ি চালিয়ে প্রায় বিশ কিলোমিটার দূরে এক সমুদ্র সৈকতে পরিবারের সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন লকডাউনের মাঝে । আর এতেই রুষ্ট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাকিন্ডা আরডের্ন । স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ইতিমধ্যেই খর্ব করা হয়েছে । নিউজ়িল্যান্ডের সহকারি অর্থমন্ত্রীর পদেও এতদিন বহাল ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক । স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন কাণ্ডের জন্য তাঁকে সড়ানো হয়েছে সহকারি অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ।
প্রধানমন্ত্রী জাকিন্ডা আরডের্ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অন্য যে কোনও স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে এমন কাণ্ডের জন্য বহিষ্কারই করা হত স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোরোনা মোকাবিলায় তাঁকে প্রয়োজন । এদিকে গোটা ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজেই নিজেকে 'ইডিয়ট' বলে ব্যাখ্যা করেছেন ।
নিউজ়িল্যান্ডে 25 মার্চ থেকে চার সপ্তাহ ব্যাপী লকডাউন চলছে । দিন কয়েক আগেই নিয়ম না মেনে নিতান্তই মজা করতে এক সুপারমার্কেটে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের শরীরের কাছে হাঁচির জন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ । এরকম প্রচুর মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে নিউজ়িল্যান্ড প্রশাসন । শুধুমাত্র নিউজ়িল্যান্ডই নয়, কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন সুনিশ্চিত করতে সব দেশই কড়া পথে হাটতে শুরু করেছে । কিছুদিন আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন স্কটল্যান্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি এডিনবার্গ থেকে 65 কিলোমিটার দূরে তাঁর অন্য একটি বাড়িতে ঘুরতে গেছিলেন । এরপরই চাপের মুখে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি ।