করাচি, 16 সেপ্টেম্বর : পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি শহরে ভাঙা হল মন্দির । পাশাাপশি গতকাল সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের স্কুল ও দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে ।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য তথা পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি জানান, স্থানীয় এক নাবালক স্কুলের শিক্ষক নোটোন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে ওই শিক্ষক ধর্ম প্রচারকের নামে বাজে কথা বলছেন । এরপরই এলাকায় এই কথা ছড়ানো হয় মাইকের মাধ্যমে । এর জেরে উত্তেজিত হয়ে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় ।
ভাঙ্কওয়ানি বলেন, "উত্তেজিত জনতা একটি মন্দির ভেঙে দিয়েছে । নোটোন দাসের স্কুলেও ভাঙচুর চালিয়েছে তারা । ঘোটকিতে বসবাসকারী হিন্দুদের বাড়িঘরেও ভাঙচুর চালায় তারা ।"
প্রসঙ্গত রমেশ কুমার ভাঙ্কওয়ানি পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন পাকিস্তানি তেহরিক-ই ইনসাফের সদস্য । ভারতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সংখ্যালঘুরা । কয়েকদিন আগেই এহেন বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান । কিন্তু তাঁর নিজের দেশেই যে বিপন্ন সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন । সেই চিত্র তুলে ধরছেন তাঁর দলেরই নেতা ।
গোটা ঘটনাটি নিয়ে ইমরান খান বা তাঁর মন্ত্রিসভার অন্য কোনও সদস্য এখনও মুখ খোলেননি ।
কয়েকদিন আগে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদন জানিয়েছিলেন বলদেব কুমার নামে ইমরানেরই দলের অন্য এক নেতা । পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গ টেনে এনে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে বলদেব ভারত সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন । বর্তমানে বলদেব স্বপরিবারে ভারতের পঞ্জাব প্রদেশের খান্না শহরে রয়েছেন ।