ব্যাংকক, 18 মে : পরিবারের কাছ থেকে লুকোতে সদ্যোজাতকে মাটি চাপা দিয়েছিল বছর পনেরোর কিশোরী । সন্তানকে খুন করে নিজের 'মান' বাঁচাতে চেয়েছিল সে । কিন্তু, তার উদ্দেশ্য পূরণ হল না । পোষ্য কুকুরের তৎপরতায় প্রাণ ফিরে পেল শিশুটি । শ্রীঘরে ঠাঁই হল কিশোরীর । ঘটনাটি থাইল্যান্ডের বান নং খাম গ্রামের ।
মাত্র 15 বছর বয়সে গর্ভবতী হয় বান নং খাম গ্রামের ওই কিশোরী । সন্তানের জন্মও দেয় সে । কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে সদ্যোজাতর কথা কাউকে জানাতে পারেনি । মা বাবার থেকেও লুকিয়ে রাখে সে কথা । লোক জানাজানি হওয়ার ভয়ে সুযোগ বুঝে একটি ফাঁকা জায়গায় সন্তানকে মাটি চাপা দেয় । লোকজন না দেখলেও পুরো ঘটনার সাক্ষী থাকে পিং পং নামে একটি কুকুর । এরপরই বদলে যায় গোটা ঘটনা । সদ্যোজাতকে মাটি চাপা দেওয়ার দৃশ্য দেখে চুপ করে থাকতে পারেনি সেই সারমেয় । চিৎকার করে ওঠে সে । পায়ে আঁচড় কেটে মাটি খুঁড়তে থাকে । সেই চিৎকার শুনে জড়ো হয় স্থানীয়রা । তারাই মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে সদ্যোজাতকে । হাসপাতালেও নিয়ে যায় । সেখানে সেই শিশুর প্রাথমিক চিকিৎসা হয় । সুখবর দেন চিকিৎসকরা । জানান, এখন পুরোপুরি সুস্থ সেই শিশু ।
ওই কুকুরের মালিক বলেন, "গাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় এক পা হারিয়েছে পিংপং । তবুও মাঠের কাজকর্মে আমাকে সাহায্য করে । পুরো গ্রাম ওকে খুব ভালোবাসে ।" এদিকে সন্তানকে খুনের অভিযোগে কিশোরীকে আটক করে পুলিশ । সদ্যোজাতকে লালন-পালনের দ্বায়িত্ব নিয়েছে কিশোরীর পরিবার ।