নাখন রচেসিমা (থাইল্যান্ড), 9 ফেব্রুয়ারি : থাইল্যান্ডে জওয়ানের গুলি চালানোর ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক নিরাপত্তাকর্মী। জখম হয়েছেন আরও দুই নিরাপত্তাকর্মী। হামলাকারী জওয়ানের নাম জাকরাপন্থ থোম্মা। সে নাখন রচেসিমার কাছে একটি সেনা শিবিরে কাজ করত বলে থাইল্যান্ড সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ৷
শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ শুরু হয় হামলা। ওই জওয়ান প্রথমে একটি বাড়িতে গুলি চালায় ৷ সেখান থেকে একটি সেনা শিবিরে যায় ৷ পরে নাখন রচেসিমার শপিং মল হামলা চালায় ৷ নিজের এই গতিবিধির কথা ফেসবুকে পোস্টও করতে থাকে সে। এদিকে খবর পেয়ে মলে অভিযান চালায় থাইল্যান্ড পুলিশ ৷ তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয় ৷ অভিযান চলাকালীন এক পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চার্নবিরাকুল৷ উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় মল থেকে অনেকগুলি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। ঘটনায় কম করে 31 জন জখম হয়েছেন।
হামলা চালানোর আগে জাকরাপান্থ ফেসবুকে পোস্ট করে জানায়, সে বদলা নিতে বেরিয়েছে ৷ কিন্তু কেন এই হামলা তা খোলসা করেনি। থাইল্যান্ড প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, "আমরা জানি না সে কেন এরকম করল ৷ তবে বোঝা যাচ্ছে, ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছিল ৷" পুলিশ ওই মলে অভিযান চালিয়ে শতাধিক মানুষকে নিরাপদে বের করে এনেছে ৷ তবে, কতজন দোকানদার বা কর্মী ওই শপিং মলে আটকে ছিলেন তা জানা যায়নি ৷
শপিং মলের ভিতরের CCTV ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে, হামলাকারী কালো জামা পরে রয়েছে ৷ সঙ্গে ছিল মাস্ক ৷ কাঁধে একটি বন্দুক ৷
শপিং মল থেকে বেঁচে বেরোতে পারলেও এখনও আতঙ্কিত 27 বছর বয়সি সুভনরত জিরাত্তানাসাকুল ৷ তিনি জানান, বারবার গুলির আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম ৷ খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ৷ পুলিশের আসার জন্য অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছিলাম আমরা ৷