নয়াদিল্লি, 6 মার্চ: কোরোনা সংক্রমণের জেরে তেহরানে আটকে পড়া ২৪০ জন কাশ্মীরি পড়ুয়া সহ কয়েকশো ভারতীয় আশার আলো দেখছে । কারণ তাঁদের সেখান থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত করতে চাইছে ভারত ও ইরান । তেহরান থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের সোয়াবের নমুনা নিয়ে দিল্লিগামী ইরানের প্রথম বিমানটি, আগামী শনিবার সকালে তেহরানের IKIA বিমানবন্দর থেকে রওনা দিতে পারে । দেশে ফেরানোর পর্ব শুরু হওয়ার আগে সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের পরীক্ষা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে ইরান । পাশাপাশি, তেহরানে গিয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ছজন বিশেষজ্ঞের ভিসাও মঞ্জুর করা হয়েছে ।
তেহরানে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতগামী উড়ান বাতিল করেছিল ইরান । কিন্তু, বর্তমানে মানবিকতার স্বার্থে এবং বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তৎপর হয়েছে ইরান সরকার । যাতে একে অপরের দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের বের করে আনতে উদ্ধারকারী বিমানের ব্যবস্থা করা যায় । এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত বিধি মানা হবে ।"
তেহরান থেকে যে বিমানটি দিল্লি পৌঁছাবে, সেটিই ভারতে আটক ইরানের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে । এরমধ্যে আলোচনা চলছে, যাতে দু'দেশের নাগরিকদের নিজেদের দেশে ফেরাতে দিল্লি ও মুম্বইয়ে আরও পর্যাপ্ত সংখ্যায় উড়ানের ব্যবস্থা করা যায় । দু'দেশের মধ্যে সীমিত সংখ্যায় বাণিজ্যিক বিমান ফের চালানো নিয়েও বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
দূতাবাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘এই সংকটজনক পরিস্থিতির মোকাবিলায় দুই দেশই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে ব্যবসায়ী, পড়ুয়া, পর্যটক সহ আটকে পড়া ব্যক্তিদের ভোগান্তি দূর করার পথ খুঁজতে । ’’ কোরোনা আক্রান্ত ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে, এই খবরকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইরানের দূতাবাস ।
তাদের ঐতিহাসিক চুক্তির মধ্যেও চলতি সপ্তাহে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সাক্ষী থেকেছে দিল্লি ও তেহরান । কারণ ইরানের বিদেশমন্ত্রী জারিফ ও পরে শীর্ষ নেতা খামেইনি দিল্লি হিংসা নিয়ে কিছু কড়া কথা বলেছেন এবং তাদের টুইটে "মুসলিমদের হত্যা" বিষয়ে মন্তব্য করেছেন । এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট দিল্লি প্রতিবাদ জানাতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইরানের রাষ্ট্রদূতকে ।