দিল্লি, 13 ডিসেম্বর: বিমানে ওঠার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ভারত সফর বাতিল করেছিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন ৷ এরপর সফর বাতিল করলেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও ৷
দুই মন্ত্রীর সফর বাতিল করে আসলে মোদি সরকারকে বার্তা দিতে চাইল শেখ হাসিনা সরকার, এমনটাই মনে করা হচ্ছে ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে তীব্র অসন্তোষ বেড়েছে ঢাকার, তাই হাসিনার সিদ্ধান্তেই সফর বাতিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে ফরিদ হোসেন সফর বাতিলের কথা নিশ্চিত করেন ৷ শুক্রবার মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার আমন্ত্রণে শিলংয়ে যাওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের । রাতে তাঁর মন্ত্রক জানিয়েছে, পরে ‘উপযুক্ত সময়ে’ মন্ত্রী এই সফরে যাবেন । এদিকে গুয়াহাটিতে উপ হাই কমিশনার শাহ মহম্মদ তনভির মনসুরের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদও করা হয়েছে বাংলাদেশের তরফে ৷
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল প্রসঙ্গে রবীশ কুমার বলেন, " তিনি (আবদুল মোমেন) ভারত সফর বাতিল করার জন্য নির্দিষ্ট কারণ জানিয়েছেন ৷ দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্টই মজবুত ৷ এর আগে দুই দেশের প্রধানই বর্তমান সময়কে সাম্প্রতিক ইতিহাসে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সেরা সময় বলে স্বীকার করেছেন ৷"
মনে করা হচ্ছে , বিল পেশের সময় সংখ্যালঘু নিপীড়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক স্তরে অস্বস্তিতে পড়েছে হাসিনা সরকার ৷ যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিদেশমন্ত্রীর তরফে বারবার বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে আশঙ্কার কোনও কারণ নেই ৷ কিন্তু শরণার্থী সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশকে নিয়ে এমনিতেই চিন্তায় হাসিনা সরকার ৷ এর মধ্যে CAB-এর জেরে ফের বাংলাদেশে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে তা সে দেশের জাতীয় রাজনীতির পক্ষে যথেষ্ট চিন্তার ৷ তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের পরই দুই মন্ত্রীর সফর বাতিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷