ওয়াশিংটন, 15 ফেব্রুয়ারি : ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ায় এবার দূতাবাস সরাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৷ মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেছেন, অস্থায়ীভাবে রাজধানি কিয়েভ থেকে লভিভে সরছে মার্কিন দূতাবাস (US relocates Embassy in Ukraine) ।
এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘‘ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান বাহিনী গড়ে তোলার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন উত্তরোত্তর বাড়ছে ৷ ফলে আমরা ইউক্রেনে আমাদের দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে কিয়েভ থেকে লভিভে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷’’ সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, আলাদা শহরে নিয়ে যাওয়া হলেও দূতাবাস আগের কাজের সঙ্গেই জড়িত থাকবে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংযোগস্থাপনের কাজ চালিয়ে যাবে ৷
তিনি বলেন যে তাঁর দেশও রাশিয়া সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে ৷ ফলে এখনও কূটনীতির পথ খোলা রয়েছে । যদিও তাঁর এই বিবৃতির পরেই স্টেট ডিপার্টমেন্ট কিয়েভের দূতাবাসের বেশিরভাগ কর্মীদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক পদক্ষেপ এবং তাঁদের হুমকির মুখে নিজেদের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন : Indians in Kyiv to Return : ইউক্রেনে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরার কথা জানাল বিদেশ মন্ত্রক
জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট, ভিসা এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি রবিবার থেকে স্থগিত করা হয়েছে ৷ এই মুহূর্তে মার্কিন কূটনীতিবিদদের লক্ষ্য হল লভিভে জরুরি পরিস্থিতিতে উপযুক্ত পরিষেবাগুলি চালু রাখা । ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কূটনীতিক এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের আধিকারিকরা ফোনালাপ সেরেছেন ৷ একই দিনে এই বিষয়ে কথা বলেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনও । যদিও সমস্যার সমাধান এখনও বিশবাঁও জলে ৷