ওয়াশিংটন, 8 এপ্রিল : ইস্তফা দিলেন অ্যামেরিকা নৌসেনার কার্যনির্বাহী সচিব থমাস মডলি । কিছুদিন আগেই অ্যামরিকার সামরিক বিমানবাহী এক জাহাজের কমান্ডার জাহাজে কোরোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রুখতে মডলির কাছে সাহায্যে চেয়েছিলেন । কিন্তু মডলি তাঁকে সাহায্য না করে বরখাস্ত করে দেন । এমনকী, কমান্ডারকে বিদ্রুপ করতেও ছাড়েননি তিনি । ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে অ্যামেরিকার নৌসেনার অন্দরে । সমালোচনার জেরে পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি ।
মডলির আগে যিনি নৌসেনার সচিব ছিলেন, তাঁকেও শেষ নভেম্বরে এক জওয়ানের বিরুদ্ধে ওঠা যুদ্ধক্ষেত্রে অসৎ আচরণের মামলা সঠিক বিচার না করার দায়ে অপসারণ করা হয়েছিল । অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার জানিয়েছেন, থমাস মডলি নিজের ইচ্ছাতেই এই ইস্তফা দিয়েছেন । ঘটনার মুখ খুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও । হোয়াইট হাউজ়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছেন, "মডলি যে ক্যাপ্টেনকে বরখাস্ত করেছেন, তিনি ভালো মানুষ ছিলেন ।"
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রণতরীতে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে সাহায্য চেয়ে কমান্ডার একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন মডলিকে । কিন্তু সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায় । আর এতেই বেজায় চটে যান মডলি । বরখাস্ত করা হয় কমান্ডারকে । এরপর থেকেই নৌসেনার অন্দরে বাড়তে থাকে ক্ষোভ । একাধিক মহল থেকে ওঠে সমালোচনার ঝড় । এই সমালোচনার জেরেই শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিলেন অ্যামেরিকা নৌসেনার কার্যনির্বাহী সচিব থমাস মডলি ।