ফ্লোরিডা, 2 অক্টোবর : বিয়েবাড়িতে গিয়ে লাগাতার ফোটে তুলে যাচ্ছিলেন ৷ টেবিলে খেতে বসা অতিথিদের খাবারের গ্রাস মুখে তোলার ছবি তুলছিলেন পটাপট ৷ কিন্তু লাগাতার 6 ঘণ্টা ধরে কাজ করে যাওয়া ফোটোগ্রাফারকে কেউ এক গ্লাস জলও এগিয়ে দেয়নি ৷ বরং বিরতি চাইলে বরের তথা বন্ধুর কাছে অপমানিত হতে হয় ৷ আর তারপরই এক কাণ্ড ঘটালেন ওই ফোটােগ্রাফার ৷ খিদের জ্বালায়, রাগের মাথায় বরের সামনেই ক্যামেরায় তোলা সব ছবি ডিলিট করে দিলেন ৷ রেডিট-এ ওই ফোটোগ্রাফার নিজেই সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন ৷ ঘটনাটি আমেরিকার ফ্লোরিডার ৷
ওই ব্যক্তি পেশাদার ফোটোগ্রাফার নন ৷ অনেকটা শখের ফোটোগ্রাফার বলতে পারেন ৷ কুকুরের ছবি তুলতে ভালবাসেন ৷ সেসব ছবি ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকে প্রায়ই পোস্ট করে প্রশংসা পান ৷ এই করতে করতে একদিন বিয়েবাড়িতে ফোটো তোলার অফার পেলেন ৷ তাও নিজের এক বন্ধুর বিয়ে ৷ পেশাদার ফোটোগ্রাফারের অনেক খরচ ৷ তাই বন্ধুত্বের খাতিরে এগিয়ে এসেছিলেন ৷ বন্ধুর বিয়ের সব ছবি তোলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি ৷ কিন্তু সেই বিয়েবাড়িতে এমন কাণ্ড ঘটল যা শুনলে হাঁ হয়ে যেতে হয় ৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অন্ন জল মুখে না তুলে লাগাতার ফোটে তুলে যাচ্ছিলেন ব্যক্তিটি ৷ ফোটোগ্রাফার থুড়ি বন্ধুটিকে কেউ এক গ্লাস জলও এগিয়ে দেয়নি ৷ বরের কাছে 20 মিনিটের বিরতি চাওয়াতে তাঁর কাছে দুটি বিকল্প দেওয়া হয় ৷ হয় পেশাদারিত্ব দেখিয়ে কাজ করো, নয়তো বিনা পারিশ্রমিকে বাড়ি ফিরে যাও ৷ ফোটোগ্রাফার শেষ বিকল্পটিকেই বেছে নেন ৷ কিন্তু যাওয়ার আগে রীতিমতো কাণ্ড ঘটিয়ে যান ৷ ক্যামেরায় তোলা সব ছবি ডিলিট করে দেন ওই ফোটোগ্রাফার ৷
আরও পড়ুন : বারটেন্ডার থেকে রেডিয়ো জকি, উচ্চমাধ্যমিকের পর কোন পথে ?
রেডিট-এ ওই ব্যক্তি লিখেছেন, "সকাল এগারোটা থেকে কাজ শুরু করেছিলাম ৷ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ৷ বিকেল পাঁচটা নাগাদ দেখলাম অতিথিদের খাবার দেওয়া হচ্ছে ৷ কিন্তু আমি ফোটোগ্রাফার তাই খাবারের জন্য সময় নষ্ট না করে কাজ করে যেতে বলা হয়েছিল ৷ আমার জন্য টেবিল সংরক্ষণও করা হয়নি ৷ গরমে ভীষণ বিধ্বস্ত, ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম ৷ একটা সময় উপায় না দেখে বরের কাছে গিয়ে 20 মিনিটে বিরতি চাই ৷ সে আমাকে বলে, হয় ফোটোগ্রাফারের কাজ করো নয়তো পারিশ্রমিক ছাড়াই এখান বেরিয়ে যাও ৷ অমন গরম, তার উপর খিদের জ্বালা ৷ তাই বন্ধুর সামনেই সমস্ত ফোটো মুছে দিয়ে বলি, আমি আর তোমার ফোটোগ্রাফার নই ৷"
আরও পড়ুন : Bird’s Eye View: ফোন ছিনিয়ে আক্ষরিক অর্থেই বার্ডস আই ভিউ দেখাল টিয়া, ভিডিয়ো ভাইরাল
রাগের মাথায় ওই কাজ করলেও সেটা কি ঠিক করেছেন নাকি ভুল, তা নিয়ে দোটানায় পড়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি ৷ লিখেছেন, "আমি কি ভুল করলাম ? সোশ্যাল মিডিয়া ওদের মধুচন্দ্রিমার ফোটোতে ভরে গিয়েছে ৷ কিন্তু বিয়ের কোনও ছবি ওরা দেয়নি ৷ অনেকেই বিয়ের ছবি দেখতে চেয়ে বন্ধুটির ফেসবুক ওয়ালে লিখছেন ৷ কিন্তু ওরা তাতে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ৷"