ওয়াশিংটন, 7 জানুয়ারি : ইরাক থেকে সেনা সরানোর প্রশ্নই নেই ৷ এই নিয়ে অ্যামেরিকা কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেয়নি ৷ অ্যামেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার স্পষ্ট জানালেন এমনই ৷
এসপার বলেন,''ইরাক থেকে সেনা সরানোর কোনওরকম সিদ্ধান্তই হয়নি ৷ '' বেশ কয়েকটি বিদেশি গণমাধ্যমে অ্যামেরিকার সেনা সরানোর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল৷ বলা হয়েছিল অ্যামেরিকার কমান্ডারের তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে ৷ গ্রিন জ়োনে কপ্টার চক্কর দিচ্ছে ৷ কপ্টারের সংখ্যা বেড়েছে চিঠিতে এমনও লেখা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল ৷ সেই প্রসঙ্গেই সরব হন এসপার ৷
ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুর পর থেকে অ্যামেরিকার দূতাবাস ও সম্পত্তি নষ্ট করার কথা বলছে ইরান ৷ এদিকে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন ইরান যদি অ্যামেরিকার কোনও দপ্তর বা কোনও আধিকারিকের উপর হামলা করে তাহলে চরম সংকটে পড়তে হবে সেদেশকে ৷ ইরাকের সংসদে অ্যামেরিকা সহ অন্য দেশের বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত একটি রেজ়োলিউশনও পাশ হয়েছে ৷
যদিও ইরানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ অ্যামেরিকা ৷ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একটি টুইটে স্পষ্ট করেছেন ইরান কখনওই পারমাণবিক অস্ত্রধর হতে পারবে না ৷ 2015 সালে, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জমানায় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিল ছয় শক্তিধর রাষ্ট্র— ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, চিন এবং অ্যামেরিকা । সেই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে তেহরানের উপর বসানো বিপুল আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে রাষ্ট্রপুঞ্জ,অ্যামেরিকা ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ ।
এই চুক্তির ফলে এক দিকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে অ্যামেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া, তেমনই দশ হাজার কোটি ডলারের সম্পত্তি ফিরে পায় ইরানও । যদিও ওবামার পদক্ষেপ ভুল বলে চুক্তি থেকে পরবর্তীতে সরে আসে ট্রাম্প প্রশাসন ৷ এই প্রেক্ষিতে ইরাকের সংসদ থেকে এ দেশ থেকে অ্যামেরিকার সেনাবাহিনীকে বহিষ্কার করার আহ্বান জানানো হয় ৷ কিন্তু সেনা সরানোর প্রশ্নে অ্যামেরিকার অবস্থান আবারও স্পষ্ট করে দিলেন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার ৷