ওয়াশিংটন, 1 সেপ্টেম্বর : আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রতাহ্যার করা হয়েছে ৷ তবে আফগানিস্তানের মানুষকে কূটনৈতিক এবং মানবাধিকারের দিক দিয়ে সাহায্য করে যাবে আমেরিকা ৷ গতকাল হোয়াইট হাউজ় থেকে আফগানবাসীকে এমনই আশ্বাস দিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ আফগানিস্তান ছেড়ে দেশে ফিরেছে মার্কিন সেনা ৷ দু'দশকের যুদ্ধ শেষ হয়েছে ৷ আফগানিস্তান থেকে সেনা ও নাগরিকদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলাকালীন আত্মঘাতী বিস্ফোরণের জবাবে পাল্টা ড্রোন হামলা দিয়ে উত্তর দিয়েছে আমেরিকা ৷
তবে আফগানবাসীর মৌলিক অধিকার, বিশেষত মহিলা ও মেয়েদের অধিকার নিয়ে সরব হবে আমেরিকা ৷ সবসময় পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন ৷ আফগানিস্তান ছাড়ার সঙ্গে আমেরিকার প্রাথমিক জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িয়ে আছে ৷ তাই শুধুমাত্র আফগানিস্তানের জন্য এই সিদ্ধান্ত নয়, "অন্য দেশগুলিকে নতুন করে গড়ার চেষ্টায় সেনা অভিযানের যুগ শেষ হল", বললেন প্রেসিডেন্ট ৷
আরও পড়ুন : Joe Biden : পরবর্তী প্রজন্মকে যুদ্ধে পাঠাতে রাজি নই, সঠিক ও সেরা সিদ্ধান্ত; আমেরিকাবাসীকে বার্তা বাইডেনের
আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমনের অভিযান চালিয়েছি ৷ জঙ্গিদের আটক করে হামলা বন্ধ করতে চেয়েছি ৷ আমরা একটা গণতান্ত্রিক, সংগঠিত আফগানিস্তান রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করেছি ৷ যেটা আফগানিস্তানের বহু শতকের ইতিহাসে সম্ভব হয়নি ৷ আমরা ভেবেছিলাম বিশাল সৈন্য মোতায়েন করলে আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে ৷ ফলপ্রসূ হবে ৷ আমাদের ঘর আরও সুরক্ষিত থাকবে ৷ কিন্তু সেই মানসিকতা থেকে সরে এসেছি আমরা ৷"
আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়া আর এখানে আরও বেশি দিন ধরে সেনা অভিযান চালানো, এই দুইয়ের মধ্যে কোনও একটা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রেসিডেন্টের কাছে ৷ তাঁর কথায়, "চিরকালীন যুদ্ধ নাকি চিরতরে ছেড়ে যাওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়া", এর মধ্যে থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তাঁকে ৷
ইসলামিক স্টেট-খোরাসানকে (ISIS-K) সতর্ক করে তিনি বলেন, "আমরা তোমাদের সঙ্গে আপস করব না ৷ যারা আমেরিকার ক্ষতি করবে, তাদের আমরা খুঁজে বের করব ৷ এর চূড়ান্ত মূল্য চোকাতে হবে তাদের ৷" পাশাপাশি, বর্তমান সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তাঁর কথায় উঠে আসে ৷ বলেন, "সন্ত্রাসের হুমকি চলছে, কিন্তু তাতে বদল এসেছে ৷ আমাদের কৌশলও সেই অনুযায়ী বদলাতে হবে ৷"