ETV Bharat / international

Jeff Bezos: মহাকাশ ঘুরে এসে কর্মীদের কুর্নিশ, কটাক্ষের মুখে অ্যামাজন কর্তা বেজোস

রকেট কোম্পানির প্রথম উড়ানে চেপে মহাকাশে ঘুরে এলেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তথা অ্যামাজনের (Amazon) প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (Jeff Bezos) ৷ তবে তাঁর এই সফর ঘিরে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে ৷

Jeff Bezos-comments-on-workers-after-spaceflight-draws-rebuke
মহাকাশ ঘুরে এসে কর্মীদের কুর্নিশ, কটাক্ষের মুখে অ্যামাজন কর্তা বেজোস
author img

By

Published : Jul 21, 2021, 10:48 AM IST

নিউ ইয়র্ক, 21 জুলাই : মানুষের জন্যই সফল হয়েছে তাঁর মহাকাশ যাত্রা ৷ অ্যামাজনের কর্মী ও গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়ে এ কথা বললেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তথা অ্যামাজনের (Amazon) প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (Jeff Bezos) ৷ মঙ্গলবার তাঁর রকেট কোম্পানির প্রথম উড়ানে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেন এই বিলিয়নেয়ার ৷ 10 মিনিট মহাকাশে ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর বেজোসের প্রতিক্রিয়া, "আমার জীবনের সেরা দিন !" তবে তাঁর মহাকাশ সফর নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বেজোসকে ৷

মহাকাশ সফরে জেফ বেজোসের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ভাই ৷ এ ছাড়াও গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের 18 বছরের এক তরুণ ও টেক্সাসের 80 বছরের এক বৃদ্ধ ৷ এই দুই জন এখনও পর্যন্ত যথাক্রমে কনিষ্ঠতম ও প্রবীণতম মহাকাশকারী ৷ তাঁর এই স্বপ্নের সফরের জন্য ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনকে বেছে নেন অ্যামাজন কর্তা ৷ চাঁদে অ্যাপোলো 11-এর অবতরণের 52তম বার্ষিকীতেই মহাকাশ যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি ৷ আমেরিকার প্রথম নভশ্চর ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড রকেটের নামানুসারে তাঁর কোম্পানির নামকরণ করা হয় ৷ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ছিল তাঁর রকেট ৷ সেটি মহাকাশে ছিল 10 মিনিট 10 সেকেন্ড ৷

মহাকাশ ঘুরে রকেট নিয়ে পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি জেফ বেজোস ৷ তিনি বলেন, "আমি অ্যামাজনের প্রত্যেক কর্মী, প্রত্যেক গ্রাহককে ধন্যবাদ জানাতে চাই ৷ কারণ আপনাদের অর্থেই এই সফর করতে পারলাম ৷" যদিও কোম্পানির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে কর্মীদের ৷ তাঁদের অভিযোগ, কর্মীদের যথাযথ বিরতি নেওয়ার সময় দেওয়া হয় না এবং কাজের পরিবেশও সুরক্ষিত নয় ৷ চলতি বছরের শুরুর দিকে আলাবামার অ্যামাজন ওয়্যার হাউসে কর্মী সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করা হলেও, তা হতে দেওয়া হয়নি ৷

Jeff Bezos-comments-on-workers-after-spaceflight-draws-rebuke
মহাকাশে পাড়ি বেজোসের

বেজোসই দশকের পর দশক ধরে কর্মী সংগঠন তৈরির প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টনের সময়ের শ্রম সচিব রবার্ট রিচ ৷ বেজোসের ধন্যবাদজ্ঞাপনের পর তিনি টুইটারে লিখেছেন, "জেফ বেজোসের অ্যামাজনের কর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজন নেই ৷ তাঁরা শুধু চান সংগঠন তৈরির প্রচেষ্টা যেন না আটকানো হয় এবং নিজেদের যোগ্যতা মতো বেতন পেতে চান তাঁরা ৷"

আয়কর না দেওয়া নিয়েও বেজোসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকে ৷ স্বেচ্ছাসেবী তদন্তকারী সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠান প্রোপাবলিকার হিসেব বলছে, 2007 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত কোনও আয়কর দেননি বেজোস ৷ সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনের কথায়, "বেজোস কঠোর পরিশ্রমী আমেরিকানদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলে গিয়েছেন ৷ যাঁরা এই দেশ চালানোর জন্য কর দেন ৷ তবে বেজোস ও অ্যামাজন তা দেয় না ৷" তাঁর মহাকাশ সফরের অর্থ কোথা থেকে এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷ কোনও বিজ্ঞানচর্চার কার্যসাধন নয়, শুধুমাত্র ঘুরতে মহাকাশ সফরের এই প্রয়োজনীয়তা কী ছিল, তা নিয়েও অ্যামাজন কর্তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনেকে ৷

জুলাইতেই অ্যামাজনের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেফ বেজোস ৷ তাঁর মহাকাশ সংক্রান্ত কোম্পানি ব্লু অরিজিন-সহ অন্যান্য পার্শ্ববর্তী ব্যবসায় নিজেকে বেশি করে নিয়োজিত করতে চান বলেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিলিয়নেয়ার ৷

নিউ ইয়র্ক, 21 জুলাই : মানুষের জন্যই সফল হয়েছে তাঁর মহাকাশ যাত্রা ৷ অ্যামাজনের কর্মী ও গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়ে এ কথা বললেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তথা অ্যামাজনের (Amazon) প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (Jeff Bezos) ৷ মঙ্গলবার তাঁর রকেট কোম্পানির প্রথম উড়ানে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেন এই বিলিয়নেয়ার ৷ 10 মিনিট মহাকাশে ঘুরে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর বেজোসের প্রতিক্রিয়া, "আমার জীবনের সেরা দিন !" তবে তাঁর মহাকাশ সফর নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বেজোসকে ৷

মহাকাশ সফরে জেফ বেজোসের সঙ্গী ছিলেন তাঁর ভাই ৷ এ ছাড়াও গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের 18 বছরের এক তরুণ ও টেক্সাসের 80 বছরের এক বৃদ্ধ ৷ এই দুই জন এখনও পর্যন্ত যথাক্রমে কনিষ্ঠতম ও প্রবীণতম মহাকাশকারী ৷ তাঁর এই স্বপ্নের সফরের জন্য ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনকে বেছে নেন অ্যামাজন কর্তা ৷ চাঁদে অ্যাপোলো 11-এর অবতরণের 52তম বার্ষিকীতেই মহাকাশ যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি ৷ আমেরিকার প্রথম নভশ্চর ব্লু অরিজিনের নিউ শেফার্ড রকেটের নামানুসারে তাঁর কোম্পানির নামকরণ করা হয় ৷ সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ছিল তাঁর রকেট ৷ সেটি মহাকাশে ছিল 10 মিনিট 10 সেকেন্ড ৷

মহাকাশ ঘুরে রকেট নিয়ে পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করার পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি জেফ বেজোস ৷ তিনি বলেন, "আমি অ্যামাজনের প্রত্যেক কর্মী, প্রত্যেক গ্রাহককে ধন্যবাদ জানাতে চাই ৷ কারণ আপনাদের অর্থেই এই সফর করতে পারলাম ৷" যদিও কোম্পানির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে কর্মীদের ৷ তাঁদের অভিযোগ, কর্মীদের যথাযথ বিরতি নেওয়ার সময় দেওয়া হয় না এবং কাজের পরিবেশও সুরক্ষিত নয় ৷ চলতি বছরের শুরুর দিকে আলাবামার অ্যামাজন ওয়্যার হাউসে কর্মী সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করা হলেও, তা হতে দেওয়া হয়নি ৷

Jeff Bezos-comments-on-workers-after-spaceflight-draws-rebuke
মহাকাশে পাড়ি বেজোসের

বেজোসই দশকের পর দশক ধরে কর্মী সংগঠন তৈরির প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিন্টনের সময়ের শ্রম সচিব রবার্ট রিচ ৷ বেজোসের ধন্যবাদজ্ঞাপনের পর তিনি টুইটারে লিখেছেন, "জেফ বেজোসের অ্যামাজনের কর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজন নেই ৷ তাঁরা শুধু চান সংগঠন তৈরির প্রচেষ্টা যেন না আটকানো হয় এবং নিজেদের যোগ্যতা মতো বেতন পেতে চান তাঁরা ৷"

আয়কর না দেওয়া নিয়েও বেজোসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকে ৷ স্বেচ্ছাসেবী তদন্তকারী সাংবাদিকতার প্রতিষ্ঠান প্রোপাবলিকার হিসেব বলছে, 2007 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত কোনও আয়কর দেননি বেজোস ৷ সেনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনের কথায়, "বেজোস কঠোর পরিশ্রমী আমেরিকানদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলে গিয়েছেন ৷ যাঁরা এই দেশ চালানোর জন্য কর দেন ৷ তবে বেজোস ও অ্যামাজন তা দেয় না ৷" তাঁর মহাকাশ সফরের অর্থ কোথা থেকে এল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷ কোনও বিজ্ঞানচর্চার কার্যসাধন নয়, শুধুমাত্র ঘুরতে মহাকাশ সফরের এই প্রয়োজনীয়তা কী ছিল, তা নিয়েও অ্যামাজন কর্তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনেকে ৷

জুলাইতেই অ্যামাজনের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেফ বেজোস ৷ তাঁর মহাকাশ সংক্রান্ত কোম্পানি ব্লু অরিজিন-সহ অন্যান্য পার্শ্ববর্তী ব্যবসায় নিজেকে বেশি করে নিয়োজিত করতে চান বলেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন বিলিয়নেয়ার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.