সান ফ্রান্সিসকো, 16 মে : এক সপ্তাহের মধ্যে 82 মিলিয়ন ডলার না দিলে ফাঁস করে দেওয়া হবে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কুকীর্তি৷ হুমকি দিল একটি হ্যাকিং গ্রুপ R ইভিল (REvil) ৷ ওই গ্রুপটি প্রাথমিকভাবে 21 মিলিয়ন ডলার চেয়েছে গ্রাবম্যান শাইর মিজ়েলাস ও স্যাকস নামক একটি ল ফার্ম থেকে ৷ জানা গেছে, সেখান থেকে ওই গ্রুপটি 756 গিগাবাইট গোপনীয় তথ্য চুরি করেছে ৷ যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কনট্র্যাক্ট, ননডিসক্লোজ়ার চুক্তি, মোবাইল নম্বর, ইমেল ৷ এছাড়াও হলিউড ও কয়েকজন সঙ্গীত তারকার ব্যক্তিগত তথ্য ৷
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর , নিউইয়র্ক ভিত্তিক আইন সংস্থার অ্যাটর্নি অ্যালেন গ্রাবম্যান বিষয়টি নিয়ে হ্যাকারদের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছেন ৷ কারণ তাঁর মতে, হ্যাকারদের টাকা দেওয়ার পরেও তারা নথি প্রকাশ করতে পারে ৷ তারা নথি প্রকাশ করবে না এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই ৷ অ্যাটর্নির কাছ থেকে পছন্দসই প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় , হ্যাকাররা তাদের দাবি করা অর্থের পরিমাণ আরও দ্বিগুণ করেছে । হ্যাকাররা তাদের ব্লগে লিখেছে, " পরবর্তী যে ব্যক্তির বিষয়ে আমরা প্রকাশ করব, তিনি হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । নির্বাচনের প্রতিযোগিতা চলছে ও সেকারণে আমরা প্রচুর নোংরা বিষয় জানতে পেরেছি ৷ " গ্রুপটি 1 সপ্তাহের সময়সীমা দিয়ে বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার এই লেখাটি তাদের ব্লগে পোস্ট করেছে । তারা আরও লেখে, " আমরা ভোটারদের জানাই, ট্রাম্পের বিষয়ে এই তথ্য প্রকাশ করলে তাকে আর কেউ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চাইবে না ৷ গ্রাবম্যান, আমরা যদি টাকা না পাই ৷ তবে আমরা আপনার সংস্থাকে মাটিতে গুঁড়িয়ে দেব ৷ যদিও গ্রুপটি ট্রাম্পের গোপন তথ্য খুঁজে পেয়েছে এমন কোনও প্রমাণ দেয়নি । সূত্রের খবর, ট্রাম্প কোনওদিনই গ্রাবম্যান সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না ৷
এবিষয়ে গ্রাবম্যান শাইর মিজ়েলাস ও স্যাকস সংস্থা জানিয়েছে, "আমাদের দেশের নির্বাচন, সরকার ও ব্যক্তিগত তথ্য বিদেশি সাইবার অপরাধীদের আক্রমণের শিকার ৷ ল ফার্ম বা আইন সংস্থাগুলিও এই কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পায়নি ৷" তারা একটি বিবৃতিতে স্বীকার করে নিয়েছে , " অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সুরক্ষায় আমাদের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ সত্ত্বেও, বিদেশি সাইবার সন্ত্রাসবাদীরা আমাদের নেটওয়ার্কটি হ্যাক করেছে ৷ মুক্তিপণ হিসাবে 42 মিলিয়ন ডলার দাবি করেছে । আমরা সরাসরি ফেডারেল আইন প্রয়োগের সঙ্গে কাজ করছি ৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা সর্বক্ষণ কাজ করে চলেছেন ৷ "