ETV Bharat / international

সেনা পাঠিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে ! আবার হুমকি ট্রাম্পের

অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করার জন্য সেনা পাঠানো হবে বলে আবার হুমকি দিলেন ট্রাম্প । তিনি বললেন, “যদি শহর এই প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তবে সেনা মোতায়েন হবে । এতে প্রত্যেকের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে ।”

trump
trump
author img

By

Published : Jun 2, 2020, 10:15 PM IST

ওয়াশিংটন, 2 জুন : আগেই ‘হিংস্র কুকুর লেলিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন । পরিস্থিতি ‘ঠান্ডা’ করার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন এমন সব অস্ত্র মজুত আছে যা কেউ কখনও দেখেনি । এইবার সেনা নামিয়ে 'তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে’ জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের আবার সাবধান করলেন প্রেসিডেন্স্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।

পুলিশি হেপাজতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনায় সরব হয়েছে অ্যামেরিকা । প্রায় 75টির বেশি শহরে ছড়িয়েছে প্রতিবাদের আগুন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে । লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস বা প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা কোনও কিছুই দমাতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের ।

অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করার জন্য সেনা পাঠানো হবে বলে আবার হুমকি দিলেন ট্রাম্প । তিনি বলেন, “যদি শহর এই প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তবে সেনা মোতায়েন হবে । এতে প্রত্যেকের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে ।”

হিংসাত্মক বলে টুইটারের তরফে এর আগেও মোছা হয় ট্রাম্পের টুইট । বারবার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হুমকি আসে প্রেসিডেন্টের তরফে । ফ্যাসিবাদ-বিরোধী দল অ্যান্টিফার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রাম্প । বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে তারাই বলে তিনি অভিযোগ করেন ।

এইদিকে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও অশান্ত হচ্ছে । প্রতিবাদের স্লোগান মুখর মিনেপলিস, ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো-র মতো বড় বড় শহর । জারি হয়েছে কারফিউ । কিন্তু দমানো যায়নি বিক্ষোভ । “আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, আমায় শ্বাস নিতে দাও”- পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে অ্যামেরিকার রাজপথ । রাস্তায় নেমে ভাঙচুর, লুটপাটও চালান বিক্ষোভকারীরা । কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের । গতারাতে সেন্ট লুইসে বিক্ষোভাকারীদের থেকে আসা গুলিতে জখম হন চার পুলিশকর্মী ।

পুলিশের মুখ্য কলোনেল জন হায়ডেন জুনিয়র সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েকজন কাপুরুষ পুলিশকর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে । চারজন জখম । তাঁরা হাসপাতালে ভরতি । ঈশ্বর সহায় তাই তাঁরা এখনও জীবিত ।”

আজ জর্জ ফ্লয়েডের অটোপ্সি রিপোর্ট আসে । ঘাড়ে আঘাতের (নেক কম্প্রেশন)কারণেই তাঁর মৃত্যু । এই মৃত্যুকে ‘হত্যা’(হোমিসাইড) বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে । এখনও নেভেনি প্রতিবাদের আগুন । জর্জের খুনের বিচার চেয়ে মিছিলে হাঁটছেন বহু মানুষ । সেই মিছিলে বর্ণবিদ্বেষ নেই । কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্ক নেই । নিয়ন্ত্রণ নেই । জোর জুলুম নেই । অন্যায়ের বিরোধিতা আছে, আছে ধৃত পুলিশ কর্মী ডেরেক শভিনের শাস্তির দাবি ।

ওয়াশিংটন, 2 জুন : আগেই ‘হিংস্র কুকুর লেলিয়ে’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন । পরিস্থিতি ‘ঠান্ডা’ করার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন এমন সব অস্ত্র মজুত আছে যা কেউ কখনও দেখেনি । এইবার সেনা নামিয়ে 'তাদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে’ জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের আবার সাবধান করলেন প্রেসিডেন্স্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ।

পুলিশি হেপাজতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের খুনের ঘটনায় সরব হয়েছে অ্যামেরিকা । প্রায় 75টির বেশি শহরে ছড়িয়েছে প্রতিবাদের আগুন । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে । লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস বা প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা কোনও কিছুই দমাতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের ।

অশান্ত পরিবেশকে শান্ত করার জন্য সেনা পাঠানো হবে বলে আবার হুমকি দিলেন ট্রাম্প । তিনি বলেন, “যদি শহর এই প্রতিবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয় তবে সেনা মোতায়েন হবে । এতে প্রত্যেকের সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে ।”

হিংসাত্মক বলে টুইটারের তরফে এর আগেও মোছা হয় ট্রাম্পের টুইট । বারবার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হুমকি আসে প্রেসিডেন্টের তরফে । ফ্যাসিবাদ-বিরোধী দল অ্যান্টিফার দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ট্রাম্প । বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে তারাই বলে তিনি অভিযোগ করেন ।

এইদিকে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরিবর্তে আরও অশান্ত হচ্ছে । প্রতিবাদের স্লোগান মুখর মিনেপলিস, ওয়াশিংটন, সান ফ্রান্সিসকো-র মতো বড় বড় শহর । জারি হয়েছে কারফিউ । কিন্তু দমানো যায়নি বিক্ষোভ । “আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে, আমায় শ্বাস নিতে দাও”- পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে অ্যামেরিকার রাজপথ । রাস্তায় নেমে ভাঙচুর, লুটপাটও চালান বিক্ষোভকারীরা । কয়েক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে বিক্ষোভকারীদের । গতারাতে সেন্ট লুইসে বিক্ষোভাকারীদের থেকে আসা গুলিতে জখম হন চার পুলিশকর্মী ।

পুলিশের মুখ্য কলোনেল জন হায়ডেন জুনিয়র সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েকজন কাপুরুষ পুলিশকর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছে । চারজন জখম । তাঁরা হাসপাতালে ভরতি । ঈশ্বর সহায় তাই তাঁরা এখনও জীবিত ।”

আজ জর্জ ফ্লয়েডের অটোপ্সি রিপোর্ট আসে । ঘাড়ে আঘাতের (নেক কম্প্রেশন)কারণেই তাঁর মৃত্যু । এই মৃত্যুকে ‘হত্যা’(হোমিসাইড) বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে । এখনও নেভেনি প্রতিবাদের আগুন । জর্জের খুনের বিচার চেয়ে মিছিলে হাঁটছেন বহু মানুষ । সেই মিছিলে বর্ণবিদ্বেষ নেই । কোরোনা সংক্রমণের আতঙ্ক নেই । নিয়ন্ত্রণ নেই । জোর জুলুম নেই । অন্যায়ের বিরোধিতা আছে, আছে ধৃত পুলিশ কর্মী ডেরেক শভিনের শাস্তির দাবি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.