ওয়াশিংটন, 23 জুন : চিনা সেনার একজন সিনিয়র জেনেরাল তার বাহিনীকে ভারতীয় সেনার উপর আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ পূর্ব লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে গত সপ্তাহে ভারত-চিন সংঘর্ষ হয় ৷ এই সংঘর্ষ নিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল অ্যামেরিকার গোয়েন্দারা ৷
ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডারের প্রধান জেনেরাল জ়াও জ়ঙ্গকি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির হয়ে দেশের সেবা করছেন ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের তরফে বলা হয়, জ়াও উত্তর ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সীমান্তে অভিযান চালানোয় অনুমতি দিয়েছিলেন ৷ সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে পূর্ববর্তী অবস্থানের তদারকি করা জ়াও এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে, দিল্লি-সহ অ্যামেরিকা ও তার সহযোগীদের দ্বারা শোষণ এড়াতে চিনকে অবশ্যই দুর্বল বলে মেনে নেওয়া উচিত নয় ৷
গত সপ্তাহে হওয়া সংঘর্ষের পর চিনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে অ্যামেরিকান গোয়েন্দাদের মূল্যায়ণ ৷ এই মূল্যায়ণে বলা হয়, এই ভয়নাক সংঘর্ষে 20জন ভারতীয় ও 35জন চিনা সেনাকর্মী মারা গিয়েছেন ৷ এই সংঘর্ষ খারাপ পরিস্থিতির কারণে নয়, বরং বেজিংয়ের পূর্ব পরিকল্পনা মতো ভারতকে শক্তি দেখানোর জন্য করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, এই সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পরও এর প্রভাব থেকে যাওয়ায় বেজিংয়ের পূর্ব পরিকল্পনাটি তাদের উপরই বুমেরাং হয়ে যায় ৷
5G পরিকাঠামোতে সাহায্যের জন্য চিনা কম্পানিতে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করতে বহু মাস আগেই ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল অ্যামেরিকা ৷ গত সপ্তাহে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর ভারতীয়রা জনে জনে চিনা সোশাল মিডিয়া অ্যাপ টিকটক ডিলিট করতে শুরু করে ৷ এমন কী, চিনে তৈরি ফোনগুলিকেও ভেঙে ফেলে প্রতিবাদ জানায় ৷
সূত্রের খবর, চিন যা চেয়েছিল, সংঘর্ষের পর তার সম্পূর্ণ বিপরীত হতে শুরু করেছে ৷ চিনা সেনার কাছে এটা কোনও জয় নয় ৷
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গতকাল ভারত ও চিনের আধিকারিকরা বৈঠক করেন ৷ গত সপ্তাহের এই সংঘর্ষে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং জড়িত কি না তা এখনও স্পষ্ট হয়নি ৷ কিন্তু, চিনা সেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে পরিচিত বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আক্রমণের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে শি চিনপিং জেনে থাকলেও থাকতে পারেন ৷
গত সপ্তাহে সংঘর্ষের পর অ্যামেরিকার স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও একটি বিবৃতি দিয়ে টুইট করেছিলেন, "চিনের সঙ্গে সংঘর্ষে যে সমস্ত ভারতীয় জওয়ানরা প্রাণ হারিয়েছেন, তার জন্য ভারতের প্রতি আমাদের সমবেদনা ৷ জওয়ানদের পরিবার, কাছের মানুষ ও সম্প্রদায়কে আমরা মনে রাখব ৷"
অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এটা একটা কঠিন পরিস্থিতি ৷ আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি ৷ আমরা চিনের সঙ্গেও কথা বলছি ৷ সেখানে তারা একটি বড় সমস্যার মধ্যে রয়েছে ৷ তারা আঘাত পেয়েছে এবং আমরা দেখব কী করা যায় ৷ আমরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করব ৷"