ওয়াশিংটন, 24 জানুয়ারি: রাজনীতিকরা নাকি কথায় কথায় মিথ্য়ে বলেন । এমন অভিযোগ বহু মানুষের৷ তবে এ নিয়ে কখনও কাউকে ফর্দ বানাতে শুনেছেন এর আগে? কার্যত সেই কাজটিই করে দেখিয়েছে মার্কিন একটি সংবাদমাধ্য়ম৷ তাদের দাবি, হোয়াই হাউজ়ে থাকাকালীন একের পর এক অনর্গল মিথ্য়ে বলে গিয়েছেন সদ্য় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সংখ্য়াটা নয় নয় করে 30 হাজার 573৷ হ্য়াঁ৷ একদম ঠিকই পড়ছেন৷ ক্ষমতায় থাকাকালীন এতবারই মিথ্য়ে বলেছেন ট্রাম্প৷
মার্কিন ওই সংবাদমাধ্য়মের হিসাব অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদে বসার প্রথম দিন থেকেই ক্ষমতার অপব্য়বহার করে গিয়েছেন ট্রাম্প৷ যা দিনে দিনে বেড়েছে বই কমেনি৷ যা কিনা সর্বকালীন এক রেকর্ড! এক্ষেত্রে একদম হালের কথা বলতে গেলে অবশ্য়ই কোরোনা মহামারি ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গ উঠবে৷ ট্রাম্পের তত্ত্ব ছিল, দাওয়াইয়ের নাকি কোনও প্রয়োজনই নেই! কোভিড এমনিই এমনিই হঠাৎ একদিন উধাও হয়ে যাবে৷ অনেকটা ভোজবাজির মতো আর কী! এছাড়া, নির্বাচনের মরশুমে ভোটচুরির অভিযোগ তো আছেই৷ বস্তুত, প্রেসিডেন্টের গদি দখলে রাখতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি ট্রাম্প৷
মার্কিন মুলুকে রাজনীতিকরা কে কটা মিথ্য়ে বুলি আওড়াচ্ছেন, তার হিসাব রাখার জন্য় নির্দিষ্ট সংস্থা রয়েছে৷ এমনই একটি সংস্থা গত 10 বছর ধরে এই কাজ করে চলেছে৷ ট্রাম্পের পারফরম্য়ান্সে মাথা ঘুরে গিয়েছে তাদেরও৷ সংস্থার দাবি, অন্য় কোনও রিপাবলিক নেতা হন, কিংবা ডেমোক্র্য়াটিক, ট্রাম্প একাই সমবেত সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন৷ এমনকী, প্রতি সপ্তাহে ট্রাম্প টুইটারে কতগুলি মিথ্য়ে পোস্ট করেছেন, তা নিয়ে রীতিমতো সাপ্তাহিক ফিচারও প্রকাশিত হয়েছে৷ পরবর্তীতে পাঠকদের আবেদন মেনেই ট্রাম্পের চার বছরের ‘রাজত্বকালের‘ ঝুটা বুলির ডাটাবেস তৈরি করা হয়েছে৷
সংগৃহীত তথ্য়ের হিসাব বলছে, শাসনকালের প্রথম বছরে ট্রাম্পের দৈনিক মিথ্য়ের গড় 6৷ পরবর্তী তিন বছরে এই সংখ্য়াটা লাফিয়ে বেড়েছে৷ দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে তা ছিল যথাক্রমে 16, 22 এবং 39৷
সেদেশের প্রেসিডেন্টাল ঐতিহাসিক মিশেল বেচলোসের মতে, ক্ষমতায় থাকাকালীন ট্রাম্প যে হারে মিথ্য়ে কথা বলেছেন, তার ফল হয়েছে ভয়ংকর৷ সত্য়ি-মিথ্য়ে নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের মধ্য়ে এত সংশয় আগে কখনই তৈরি হয়নি৷
ট্রাম্পের এই আচরণ বিপাকে ফেলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষকেও৷ তাঁর বলা বহু মিথ্য়েই ব্লক করতে বাধ্য় হয়েছে তারা৷ যার একটা বড় অংশই নির্বাচনী প্রচার সংক্রান্ত৷