ETV Bharat / international

কোথাও প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদ, কোথাও প্রাণদণ্ড;  ধর্ষণে কী শাস্তি কোন দেশে ?

author img

By

Published : Dec 4, 2019, 10:56 PM IST

Updated : Dec 4, 2019, 11:04 PM IST

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের জন্য বিভিন্ন রকম কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে । ইসলামিক দেশগুলিতে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি বা পাথর ছুড়ে হত্যার বিধান রয়েছে । কিছু কিছু দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় ।

Punishments
ধর্ষণের সাজা

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের জন্য বিভিন্ন রকম কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে । ইসলামিক দেশগুলিতে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি বা পাথর ছুড়ে হত্যার বিধান রয়েছে । কিছু কিছু দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় । নিচে বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কী কী শাস্তি দেওয়া হয়, তা সংক্ষেপে দেওয়া হল ।

উত্তর কোরিয়া : এই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । ফায়ারিং স্কয়্যাডের সামনে দাঁড় করিয়ে দোষীকে মাথায় বা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে গুলি করে হত্যা করা হয় ।

চিন : এই দেশে ধর্ষণ খুবই গুরুতর অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হয় । ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত তদন্ত সেরে বিচার শেষ করা হয় । দোষীকে পেছন থেকে গুলি করে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়া হয় । কিন্তু সমস্যা হল, চিনে অনেক ক্ষেত্রেই লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান না ।

সৌদি আরব : এই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার শেষ হওয়ার খুব অল্পদিনের মধ্যে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় । ধর্ষণের ঘটনায় এদেশেও প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে । দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নিস্তেজ করে প্রকাশ্যে তার মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় ।

ইরান : এই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । দোষীকে প্রকাশ্যে গুলি করে বা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয় । তবে যদি ধর্ষিতার অনুমতি থাকে, তবে প্রাণদণ্ডের পরিবর্তে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা 100 ঘা বেত মারা হয় ।

আফগানিস্তান : ধর্ষণের ঘটনার চার দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় । দোষীকে মাথায় গুলি করে বা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয় । দোষী যদি চায় তবে সে নিজেই নিজেকে গুলি করে বা ফাঁসি দিয়ে প্রাণদণ্ড কার্যকর করতে পারে ।

পাকিস্তান : গণধর্ষণ, শিশুর উপর যৌন নির্যাতন বা অন্য যে কোনও ধরণের যৌন হেনস্থার ঘটনায় দোষীকে এ দেশে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । এ ছাড়া কোনও মহিলার পোশাক ছিঁড়ে দিয়ে তাঁর শরীরের কোনও অংশ উন্মুক্ত করলে সেক্ষেত্রেও প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে ।

কিউবা : এ দেশেও ধর্ষণের ঘটনায় প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে । এ ছাড়া 12 বছরের কম মেয়েদের যৌন হেনস্থা করলে সেক্ষেত্রেও দোষীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় ।

ফ্রান্স : ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে 15 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । তবে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দোষীকে 30 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।

ইজ়রায়েল : ধর্ষককে এ দেশে 16 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । তবে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দোষীর যাবজ্জীবন সাজাও হতে পারে । এ ছাড়া যে কোনও ধরণের যৌন হেনস্থার ক্ষেত্রেও দোষীর একই সাজা হতে পারে ।

বাংলাদেশ : ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে সাধারণত যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় । তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দোষীর প্রাণদণ্ডের বিধানও রয়েছে ।

জাপান : এ দেশে ধর্ষককে 20 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । তবে ডাকাতি করার সময় যদি কেউ ধর্ষণ করে তবে সেক্ষেত্রে দোষীর প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে ।

অ্যামেরিকা : এ দেশে দুই ধরনের আইন রয়েছে ধর্ষণের মামলার বিচারের জন্য । একটি হল ফেডেরাল আইন, অন্যটি হল স্টেট আইন । ফেডেরাল আইনে ধর্ষককে 30 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । একই ব্যক্তি যদি একাধিক বার ধর্ষণের বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে তিন ধাপে তাকে আরও কঠোর সাজা দেওয়া হয় । লুইসিয়ানা ও ফ্লোরিডায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে ।

নরওয়ে : যৌন হেনস্থায় দোষীদের এ দেশে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে 4 থেকে 20 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । কোনও মহিলার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যে কোনও ধরনের যৌন আচরণকে এ দেশে অপরাধ বলে গণ্য করা হয় ।

রাশিয়া : অপরাধের গুরুত্ব বুঝে ধর্ষককে এ দেশে 4 থেকে 15 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । এ ছাড়া দোষী যাতে 20 বছর কোনও চাকরি না পায় সেই বিধানও আইনে রয়েছে । নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় ।

নেদারল্যান্ড : ধর্ষণ সহ যে কোনও যৌন হেনস্থায় দোষীর 4 থেকে 15 বছরের কারাদণ্ড হতে পারে । এ দেশে কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফ্রেঞ্চ কিস করা যৌন হেনস্থার শামিল ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের জন্য বিভিন্ন রকম কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে । ইসলামিক দেশগুলিতে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি বা পাথর ছুড়ে হত্যার বিধান রয়েছে । কিছু কিছু দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় । নিচে বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের কী কী শাস্তি দেওয়া হয়, তা সংক্ষেপে দেওয়া হল ।

উত্তর কোরিয়া : এই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । ফায়ারিং স্কয়্যাডের সামনে দাঁড় করিয়ে দোষীকে মাথায় বা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে গুলি করে হত্যা করা হয় ।

চিন : এই দেশে ধর্ষণ খুবই গুরুতর অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হয় । ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত তদন্ত সেরে বিচার শেষ করা হয় । দোষীকে পেছন থেকে গুলি করে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়া হয় । কিন্তু সমস্যা হল, চিনে অনেক ক্ষেত্রেই লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান না ।

সৌদি আরব : এই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় বিচার শেষ হওয়ার খুব অল্পদিনের মধ্যে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় । ধর্ষণের ঘটনায় এদেশেও প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে । দোষীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নিস্তেজ করে প্রকাশ্যে তার মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় ।

ইরান : এই দেশে ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । দোষীকে প্রকাশ্যে গুলি করে বা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয় । তবে যদি ধর্ষিতার অনুমতি থাকে, তবে প্রাণদণ্ডের পরিবর্তে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা 100 ঘা বেত মারা হয় ।

আফগানিস্তান : ধর্ষণের ঘটনার চার দিনের মধ্যে বিচার শেষ করে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হয় । দোষীকে মাথায় গুলি করে বা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয় । দোষী যদি চায় তবে সে নিজেই নিজেকে গুলি করে বা ফাঁসি দিয়ে প্রাণদণ্ড কার্যকর করতে পারে ।

পাকিস্তান : গণধর্ষণ, শিশুর উপর যৌন নির্যাতন বা অন্য যে কোনও ধরণের যৌন হেনস্থার ঘটনায় দোষীকে এ দেশে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় । এ ছাড়া কোনও মহিলার পোশাক ছিঁড়ে দিয়ে তাঁর শরীরের কোনও অংশ উন্মুক্ত করলে সেক্ষেত্রেও প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে ।

কিউবা : এ দেশেও ধর্ষণের ঘটনায় প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে । এ ছাড়া 12 বছরের কম মেয়েদের যৌন হেনস্থা করলে সেক্ষেত্রেও দোষীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় ।

ফ্রান্স : ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে 15 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । তবে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দোষীকে 30 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় ।

ইজ়রায়েল : ধর্ষককে এ দেশে 16 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । তবে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দোষীর যাবজ্জীবন সাজাও হতে পারে । এ ছাড়া যে কোনও ধরণের যৌন হেনস্থার ক্ষেত্রেও দোষীর একই সাজা হতে পারে ।

বাংলাদেশ : ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে সাধারণত যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় । তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দোষীর প্রাণদণ্ডের বিধানও রয়েছে ।

জাপান : এ দেশে ধর্ষককে 20 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । তবে ডাকাতি করার সময় যদি কেউ ধর্ষণ করে তবে সেক্ষেত্রে দোষীর প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে ।

অ্যামেরিকা : এ দেশে দুই ধরনের আইন রয়েছে ধর্ষণের মামলার বিচারের জন্য । একটি হল ফেডেরাল আইন, অন্যটি হল স্টেট আইন । ফেডেরাল আইনে ধর্ষককে 30 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । একই ব্যক্তি যদি একাধিক বার ধর্ষণের বা যৌন হেনস্থার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে তিন ধাপে তাকে আরও কঠোর সাজা দেওয়া হয় । লুইসিয়ানা ও ফ্লোরিডায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় প্রাণদণ্ডের বিধান রয়েছে ।

নরওয়ে : যৌন হেনস্থায় দোষীদের এ দেশে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে 4 থেকে 20 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । কোনও মহিলার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে যে কোনও ধরনের যৌন আচরণকে এ দেশে অপরাধ বলে গণ্য করা হয় ।

রাশিয়া : অপরাধের গুরুত্ব বুঝে ধর্ষককে এ দেশে 4 থেকে 15 বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় । এ ছাড়া দোষী যাতে 20 বছর কোনও চাকরি না পায় সেই বিধানও আইনে রয়েছে । নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় দোষীকে আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় ।

নেদারল্যান্ড : ধর্ষণ সহ যে কোনও যৌন হেনস্থায় দোষীর 4 থেকে 15 বছরের কারাদণ্ড হতে পারে । এ দেশে কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ফ্রেঞ্চ কিস করা যৌন হেনস্থার শামিল ।

New Delhi, Dec 04 (ANI): Prime Minister Narendra Modi and President of Maldives Ibrahim Mohamed Solih jointly launched four key projects via video conferencing. India launched three community development projects besides initiating the process to roll out RuPay card in the Maldives and an LED lighting project in its capital Male. Three fish processing plants were also inaugurated. The ties between the two countries are on an upswing after Solih became President in November 2018.
Last Updated : Dec 4, 2019, 11:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.