ETV Bharat / headlines

'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'কে হাতিয়ার করে তোলাবাজি করছে পুলিশ, DG-কে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর - DG Virendra

দিঘার রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে । আজ এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি । দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় প্রয়োজনে একটা মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে বলেন ৷ ওয়াচ টাওয়ার বানানোরও পরামর্শ দেন । এই সমস্ত জায়গায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ।

'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'কে হাতিয়ার করে তোলাবাজি করছে পুলিশ, DG-কে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
author img

By

Published : Aug 21, 2019, 8:28 PM IST

Updated : Aug 21, 2019, 8:55 PM IST

দিঘা, 21 অগাস্ট : পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে প্রায়শই৷ এমন কী, তাঁর স্বপ্নের 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'কে হাতিয়ার করেও নাকি তোলাবাজি করছে পুলিশ৷ স্বয়ং রাজ্য পুলিশের DG সামনেই এ বার বিষয়টি নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুঝিয়ে দিলেন, এ বিষয়ে কঠোরতম পদক্ষেপ করতে তিনি পিছপা হবেন না ৷ পাশাপাশি পুলিশকে আরও মানবিক হওয়ার পরামর্শও দিলেন মমতা ৷ কথায়-কথায় জরিমানা না করে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপদেশও দিলেন ৷

আজ পূর্ব মেদিনীপুর সফরের দ্বিতীয় দিনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই বৈঠকে উন্নয়নের যাবতীয় কাজে প্রশাসনকে ক্লিনচিট দেন ৷ কিন্তু অসন্তোষ প্রকাশ করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ৷ তিনি জানান, সিভিক ভলান্টিয়রকে দিয়ে পুলিশ জরিমানা আদায় করছে । মানুষকে হয়রান করছে । আর পুলিশের এই জরিমানা আদায় আর হয়রানির হাতিয়ার হচ্ছে, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' কর্মসূচি । পুলিশকে সংযত এবং মানবিক হওয়ার পরমার্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী । SP-দের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে DG বীরেন্দ্রকে নির্দেশ দেন তিনি ৷ মমতা বলেন, "সিভিকদের দিয়ে ফাইন নেওয়া হচ্ছে । বলছে গাড়ি ধর, আর টাকা নাও । এটা কেন হবে ।" মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে তা ভাবতে মুখ্যমন্ত্রী ৷

DG-কে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ দেখাতে গিয়ে বেশি কেস দেওয়া হচ্ছে । জাতীয় সড়কে যে সত্যিই দুষ্টুমি করবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন । অলিতে-গলিতে একটা গরিব লোকের পকেটে 400 টাকা রয়েছে ৷ তাঁর কাছে থেকে 200 টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে কেন? কে বলেছে এই টাকাটা আদায় করতে? প্রত্যেকে একই কথা বলছে । কেন হচ্ছে এটা? সারা বাংলায় হচ্ছে এটা ! পুলিশের সুবিধার্থে সিভিক ভলান্টিয়র নেওয়া হয়েছিল ৷ ওরা ভালো কাজ করছে ৷ সাড়ে তিন হাজার টাকার জায়গায় 4 হাজার পাচ্ছে ৷ তাদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে হবে ৷"

দিঘার রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে । আজ এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি । দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় প্রয়োজনে একটা মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে বলেন ৷ ওয়াচ টাওয়ার বানানোরও পরামর্শ দেন । এই সমস্ত জায়গায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ।

দিঘা, 21 অগাস্ট : পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে প্রায়শই৷ এমন কী, তাঁর স্বপ্নের 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ'কে হাতিয়ার করেও নাকি তোলাবাজি করছে পুলিশ৷ স্বয়ং রাজ্য পুলিশের DG সামনেই এ বার বিষয়টি নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুঝিয়ে দিলেন, এ বিষয়ে কঠোরতম পদক্ষেপ করতে তিনি পিছপা হবেন না ৷ পাশাপাশি পুলিশকে আরও মানবিক হওয়ার পরামর্শও দিলেন মমতা ৷ কথায়-কথায় জরিমানা না করে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপদেশও দিলেন ৷

আজ পূর্ব মেদিনীপুর সফরের দ্বিতীয় দিনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই বৈঠকে উন্নয়নের যাবতীয় কাজে প্রশাসনকে ক্লিনচিট দেন ৷ কিন্তু অসন্তোষ প্রকাশ করেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ৷ তিনি জানান, সিভিক ভলান্টিয়রকে দিয়ে পুলিশ জরিমানা আদায় করছে । মানুষকে হয়রান করছে । আর পুলিশের এই জরিমানা আদায় আর হয়রানির হাতিয়ার হচ্ছে, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' কর্মসূচি । পুলিশকে সংযত এবং মানবিক হওয়ার পরমার্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী । SP-দের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে DG বীরেন্দ্রকে নির্দেশ দেন তিনি ৷ মমতা বলেন, "সিভিকদের দিয়ে ফাইন নেওয়া হচ্ছে । বলছে গাড়ি ধর, আর টাকা নাও । এটা কেন হবে ।" মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে তা ভাবতে মুখ্যমন্ত্রী ৷

DG-কে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ দেখাতে গিয়ে বেশি কেস দেওয়া হচ্ছে । জাতীয় সড়কে যে সত্যিই দুষ্টুমি করবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন । অলিতে-গলিতে একটা গরিব লোকের পকেটে 400 টাকা রয়েছে ৷ তাঁর কাছে থেকে 200 টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে কেন? কে বলেছে এই টাকাটা আদায় করতে? প্রত্যেকে একই কথা বলছে । কেন হচ্ছে এটা? সারা বাংলায় হচ্ছে এটা ! পুলিশের সুবিধার্থে সিভিক ভলান্টিয়র নেওয়া হয়েছিল ৷ ওরা ভালো কাজ করছে ৷ সাড়ে তিন হাজার টাকার জায়গায় 4 হাজার পাচ্ছে ৷ তাদেরও প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করতে হবে ৷"

দিঘার রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে । আজ এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে, কীভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি । দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় প্রয়োজনে একটা মাইক্রোফোন ব্যবহার করতে বলেন ৷ ওয়াচ টাওয়ার বানানোরও পরামর্শ দেন । এই সমস্ত জায়গায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ।

Intro:দিঘা, ২১ আগস্ট: সিভিক ভলান্টিয়ার দাঁড় করিয়ে পুলিশ মানুষের থেকে ফাইন আদায় করছে।মানুষকে হয়রান করছে পুলিশ।আর পুলিশের এই ফাইন আদায় আর হয়রানির হাতিয়ার হচ্ছে, 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ' কর্মসূচি।পুলিশের এমন জুলুমের বিরুদ্ধে প্রায় অভিযোগ ওঠে রাজ্যের সর্বত্র।বিশেষত জেলাগুলোতে।দিঘার পথেও পুলিশের এমন দুর্ব্যবহারের অভিযোগ কম না।সবটাই কানে উঠেছিল আগে।মঙ্গলবার পুলিশের ডিজির উপস্থিতিতেই পুলিশ কর্তাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।পরামর্শ দিলেন সংযত হওয়ার।নির্দেশ দিলেন, ফাইন আদায় না করে মানুষকে সচেতন করার।
Body:সোমবার দিঘায় আন্তর্জাতিকমানের কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধনের পর জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার দিঘায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী।এই বৈঠকে উন্নয়নের যাবতীয় কাজে প্রশাসনকে ক্লিনচিট দেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু অভিযোগ তোলেন পুলিশের বিরুদ্ধে।যার অন্যতম ছিল এই ফাইন এবং হয়রানির অভিযোগ।এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে উদ্দেশ্য করে বলেন," ডিজি আছেন তো, আমার একটা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ দেখাতে গিয়ে এত বেশি কেশ দেওয়া হচ্ছে।এটা একটা পরিকল্পনা।এটা জনসচেতনতার।যে সত্যি দুষ্টুমি করবে জাতীয় সড়কে আপনি অবশ্যি ব্যবস্থা নেবেন।অলিতে-গলিতে একটা গরিব লোকের ৪০০ টাকা পকেটে আছে ২০০ টাকা নিয়ে নেওয়া হচ্ছে কেন? কে বলেছে এই টাকাটা আদায় করতে? প্রত্যেকে একই কথা বলছে।কেন হচ্ছে এটা? সারা বাংলায় হচ্ছে এটা!
Conclusion:পুলিশকে সংযত এবং মানবিক হওয়ার পরমার্শ হতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিজিকে বলেন, আপনার এসপি-দের আপনি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করুন।এবং আপনি সরাসরি বলুন।এটা কিন্তু সিভিকদের দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।বলছে গাড়ি ধর, আর টাকা নাও।এটা কেন হবে।সবাই বলছে কিন্তু।কলকাতা পুলিশকে আগে বলেছি।এবার জেলাগুলোর ক্ষেত্রেও বলছি।যে অন্যায় করবে আপনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।ব্যবস্থা মানে তো টাকা নয়।একটা গরিব লোক যদি ৪০০ টাকা নিয়ে বেরোয় আপনি তাকে কেশ দিন না।আপনি যথার্থ ব্যবস্থা নিন।কিন্তু এত কেশ দেওয়া হচ্ছে যে মানুষ পাগল হয়ে যাচ্ছে।আমরা চাই সমাধান।আমাদের মানবিক হতে হবে।মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে কিভাবে এটা করা যায় সেটা ভাবতে হবে।আইসি, ওসিদের দিকে আঙ্গুল তুলে সরাসরি বলেন,মনে রাখবেন যারা আইসি-অসিরা আছেন, সিভিকরা প্রশিক্ষিত না।ভিলেজ পুলিশরা প্রশিক্ষিত।তারা যথেষ্ট ভালো মাইনে পায়।সিভিক ভলান্টিয়ার নেওয়া হয়েছিল পুলিশের সুবিধার্থে।সাড়ে তিনহাজার থেকে বেড়ে ওরাতো ৮ হাজার পাচ্ছে।ওরা ভালো কাজ করছে।ভালো কাজ করলে স্বীকৃতি পাবে।ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ নিক।আসতে আসতে ওদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করতে হবে।আইসি বলেদিলেন, আটটা সিভিক ভলান্টিয়ারকে ছেড়ে দিয়ে যা গিয়ে গাড়ি থেকে টাকা তুলে নিয়ে আয়।আপনার সম্মানটা কিন্তু পুরোপুরি থাকল না।সবাই তো খারাপ না।অনেক ভালো ছেলে-মেয়ে আছে।অনেক জায়গাতেও অনেক খারাপ ছেলে মেয়েরাও আছে।ওরা ওটাকে খারাপ ভাবে ব্যবহার করছে।ওসি-আইসি কিসের জন্য এইটুকু না করলে।এটার প্রবণতা বাড়ছে।" দিঘার রাস্তায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে।এদিন এ বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্ৰশাসন বসে দুর্ঘটনা প্রবন এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।বলেন, "দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় প্রয়োজনে একটা মাইক্রো ফোন রাখুন নতুবা ওয়াচটাওয়ার বানান।দুর্ঘটনা প্রবন জায়গার ওপর নজরদারি বাড়ান।"
Last Updated : Aug 21, 2019, 8:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.