কলকাতা, 22 জানুয়ারি: কখনও মাম্পি, কখনও তিন্নি আবার কখনও অনামিকা ৷ সব চরিত্রেই নিজের জায়গাটা দক্ষতার সঙ্গে দর্শককে বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী রুকমা রায় ৷ 'কিরণমালা', 'বাঘ বন্দি খেলা', 'দেশের মাটি', 'খড়কুটো', লালকুঠি'র মতো জনপ্রিয় সব ধারাবাহিকে দাপিয়ে অভিনয় করার পর বড় পর্দাতেও ডেবিউ হয়েছে রুকমার। তথাগত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গোপনে মদ ছাড়ান' ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ওয়েবের তালিকায় রয়েছে 'ব্যোমকেশ', 'মগ্ন মৈনাক'। আর এবার 'রক্তকরবী' (Roktokorobi Web Series)। সেখানেও এক দারুণ চরিত্রে রয়েছেন রুকমা।
এই প্রথমবার বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন তিনি। যদিও প্রেমের সিরিজ নয়, তবুও একটা রসায়ন রয়েছে তাঁদের চরিত্রের মধ্যে। উল্লেখ্য, 'লালকুঠি' ধারাবাহিকে বিক্রম-অনামিকার কেমেস্ট্রি সাড়া ফেলে টেলি দর্শকের মনে। আর এবার গল্পের নায়কের আসল নামই বিক্রম ৷ আর চরিত্রের নাম সাত্যকি। রুকমা বলেন, "ব্যাপারটায় মিল ও অমিল দুটোই রয়েছে। ওটা ছিল চরিত্র। চরিত্রের নাম বিক্রম। আর এর আসল নামই বিক্রম। তবে, বানানটা ভিক্রম (Vikram) এই আর কী। সাত্যকি আর বৃন্দার কেমেস্ট্রিটা মজা করলাম খুবই। রহস্য রয়েছে। সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। কাজ করে আনন্দ পেলাম খুব।" রুকমার কাছে এরপর জানতে চাওয়া হয় আবার কবে তাঁকে বাংলা ধারাবাহিকে দেখতে পাবেন দর্শক?
রুকমা উত্তরে জানান, কিছুদিনের ব্রেক নিতে চান তিনি ধারাবাহিক থেকে। এবার ভ্রমণে একটু মনোনিবেশ করতে চান। তবে, শীঘ্রই দর্শকের দরবারে ফিরছেন 'রক্তকরবী'র হাত ধরে বৃন্দা হয়ে। আর তা নিয়ে বেশ আপ্লুত রুকমা। এছাড়াও রুকমা 'সুপার সিঙ্গার সিজন ওয়ান'-এর সঞ্চালনাও করেছেন। সেই সময় সাক্ষাৎ পেয়েছেন কেকে'র। বাংলা টেলিভিশনে রুকমা জনপ্রিয় মুখ বললেও কম বলা হয়। তাঁর ভক্তসংখ্যার নির্ণয় করতে বসা বাতুলতা মাত্র। 'দেশের মাটি' ধারাবাহিকের দৌলতে রাজা এবং মাম্পির চরিত্র হয়ে ওঠে মাইলস্টোন। 'কিরণমালা' ধারাবাহিকেও রাজকুমারী কিরণমালার চরিত্রে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। 'লালকুঠি' ধারাবাহিকে অনামিকা চরিত্রটিও সমাদৃত হয় দর্শকের কাছে।
আরও পড়ুন: দিদার বাড়ি সরস্বতী পুজো থেকে বর্তমান ওয়েব সিরিজ, অকপট 'রক্তকরবী'র রঞ্জা
এই সব নিয়েই রুকমা আজ বহুল পরিচিত নাম। ওয়েব সিরিজেও নিজের ক্যারিশ্মা দেখাচ্ছেন তিনি। সামনেই সরস্বতী পুজো। সেই নিয়েও নিজের স্মৃতি ভাগ করে নিয়ে তিনি বলেন, "সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালি মেয়েদের কাছে শাড়ি। মায়ের ব্লাউজ খাপিয়ে নিয়ে পরতাম। কেননা মারাত্মক রোগা ছিলাম। তবে, সরস্বতী পুজো ঘিরে আমার স্পেশাল কিছু প্ল্যানিং থাকত না। প্রেমটা থাকত প্রেমের মতো। আসলে আমার জীবনে সারা বছরই সরস্বতী পুজো।"