কলকাতা, 4 জুন : ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণকে গান শোনাতেন স্বামীজি । শোনাতেন রবীন্দ্র সঙ্গীতও । তবে, রবীন্দ্রনাথ এবং স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মের দিক থেকে দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করতেন । একজন নিরাকার ব্রহ্মের উপাসক ছিলেন, অন্যজন সাকার দেব-দেবীর উপাসক । অথচ উভয়েই সেই সৎ-চিৎ-আনন্দ-কে উপলব্ধি করেছেন, অন্তরে ।
মজার কথা হল, রবীন্দ্রনাথের গানেই অসীমের মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছিলেন বিবেকানন্দ । তাই রবীন্দ্রনাথের গান বিশেষভাবে পছন্দ ছিল তাঁর । মগ্ন থাকতেন রবীন্দ্র গানে । আর সেই গান শোনাতেন তাঁর গুরু রামকৃষ্ণকে । জানা যায়, স্বামীজি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশনও করেছেন । একথা ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’ গ্রন্থের বিভিন্ন খণ্ডে এবং অন্যান্য সমকালীন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে । যেসব গান নানা সময়ে ঠাকুরকে শুনিয়েছিলেন স্বামীজি তার মধ্যে কয়েকটি হল- ‘গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে...’ গানটি স্বামী বিবেকানন্দ দু’বার (25 চৈত্র, 1289 ও 27 বৈশাখ, 1292) শ্রীরামকৃষ্ণকে গেয়ে শুনিয়েছিলেন ।
জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ রচিত প্রথম গান এটি । মাত্র 11 বছর বয়সে গানটি লেখেন কবিগুরু । এ ছাড়াও ‘দিবানিশি করিয়া যতন / হৃদয়েতে রচেছি আসন...’, ‘দুখ দূর করিলে, দরশন দিয়ে মোহিলে প্রাণ...’, ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা,...’, দুজনে যেথায় মিলিছে সেথায় তুমি থাকো...', 'শুভদিনে এসেছে দোঁহে চরণে তোমার...'।
আসন্ন বাংলা ধারাবাহিক 'যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দ' ধারাবাহিকে গান তাই এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে । তা না-হলে স্বামীজি'র জীবনের এই বিশেষ দিকটি জানা থেকে বঞ্চিত হবেন দর্শক, এমনটাই মনে করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ । উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ রোডের 'স্বামী বিবেকানন্দ অ্যাসেন্ট্রাল হাউজ অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার'-এ আয়োজিত ধারাবাহিকের সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন গানের টিম নিয়ে হাজির ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক দেবজিত রায় । 6 জুন থেকে টিভির পর্দায় আসছে এই ধারাবাহিক (New Serial Yuganayak Swami Vivekananda is Coming Soon)।
আরও পড়ুন : বিলের স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠার গল্প বলবে 'যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দ'
এই ধারাবাহিকে গান গাইবেন- অরিত্র দাশগুপ্ত, ইন্দ্রনীল দত্ত, অর্ঘ সরকার । সমবেত এবং একক কণ্ঠে শিল্পীরা এদিন শোনালেন গান । জানালেন এই ধারাবাহিকে তাঁদের গান গাওয়া নিয়ে নানা কথা । প্রত্যেকেই এমন একটি প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুশি । একইসঙ্গে দেবজিত রায়ের সঙ্গে কাজ করতে পারার সুযোগেও আপ্লুত প্রত্যেকে ।